গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা জানতে বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। সূর্যমুখী বীজের অপকারিতা কি কি? জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।

গর্ভাবস্থায়-সূর্যমুখী-বীজ-খাওয়ার-উপকারিতা-জানতে-বিস্তারিত-পড়ুন
কারণ, আজকে আমরা আলোচনা করব গর্ভকালীন সময়ে সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারী দিক এবং সূর্যমুখী বীজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করবো এই বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তো চলুন আলোচনা শুরু করি।

পোস্ট সুচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা

সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা

গর্ভকালীন সময়ে সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা জানার আগে আমাদের সূর্যমুখী বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। অতি পরিচিত এই সূর্যমুখী ফুল শুধু দৃষ্টিনন্দনের জন্যই নয় বরং এর বীজেও লুকিয়ে রয়েছে নানান উপকারিতা। তাহলে চলুন সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি হতে পারে তা জেনে নিন--
  • হাড় মজবুত করেঃ হাড়কে মজবুত করতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। তাছাড়া সূর্যমুখী বীজ খনিজ পদার্থের ভালো উৎস হওয়ায় এটি আপনার হাড়কে মজবুত এবং শক্তিশালী করতে সক্ষম।
  • বয়সের ছাপ দূর করতেঃ সূর্যমুখী বীজে রয়েছে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টিজ আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা প্রদান করে। তাছাড়া এর মধ্যে বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যারোটিন আপনার ত্বকের উজ্জ্বল্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে। কেননা বিটা ক্যারোটিন ত্বকে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ভিটামিন ই ত্বকে বলিরেখা করতে দেয় না।
  • শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়াতেঃ শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়াতে আপনি সূর্যমুখী বীজ খেতেই পারেন। কারণ, এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট যা আপনার লিভারের গ্লাইকোজেনকে রক্ত প্রবাহে নিঃসরণ করতে পারে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেঃ সূর্যমুখী বীজে রয়েছে উচ্চমানের ফাইটোস্টেরোল ও লিগনেন্স যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এইসব উপাদান আপনার শরীরে ক্যান্সারের কোষ তৈরি করতে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে আপনার শরীরে কোলন ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সারের হ্রাস পায়।
  • চুল পড়া রোধ করতেঃ সূর্যমুখী বীজে বিদ্যমান কপার যা আপনার চুলের স্বাভাবিক রং কে ধরে রাখে। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজের ভিটামিন বি-৬ যা আপনার মাথার স্ক্যাল্পে অক্সিজেন সাপ্লাই করে চুল পড়া রোধ করতে পারে এবং নতুন চুল জন্মাতেও সাহায্য করে।
  • ত্বকের দাগ দূর করতেঃ সূর্যমুখী বীজের ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার ত্বকে কোলাজেন ও এলাস্টিন তৈরি করে ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, সেল ড্যামেজ এর হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
  • কোলেস্টেরল কমাতেঃ যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা সূর্যমুখী বীজ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ফাইটোস্টেরোল যা আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রয়োজনীয় ফ্যাটঃ সূর্যমুখী বীজে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। নিয়মিত সূর্যমুখী বীজ সেবনে আপনি পৌনে এক কাপ সূর্যমুখী বীজ থেকে পেতে পারেন ১৪ গ্রাম ফ্যাট।
  • নয়তন্ত্রকে উন্নত করে: সূর্যমুখী বীজের ম্যাগনেসিয়াম নার্ভ সেল এর অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমিয়ে আপনার স্নায়ুতন্ত্র কে সঠিকভাবে কাজ করাতেও সাহায্য করে।
  • মানসিক স্ট্রেস কমাতেঃ সূর্যমুখী ফুলের বিচিতে রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি আপনার শরীরে সেরেটোনিন উৎপাদনে সক্ষম। আর সেরেটোনিন হল এমন একটি উপাদান যা আপনার ক্লান্তি ভাব, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক স্ট্রেস দূর করতে পারে।
  • এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানঃ সূর্যমুখী বীজের ভিটামিন ই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে আপনার শরীরে কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালাপোড়া হ্রাস করে। তাছাড়া নিয়মিত সূর্যমুখী বীজের ব্যবহারে এটি আপনার অস্টিও আর্থাইটিস, বাত এবং অ্যাজমার মত সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণেঃ সূর্যমুখী ফুলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকায় এটি হজমে বেশ সহায়ক। ফলে আপনাদের যাদের কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা আছে তারা সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন। এটা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান হবে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ এই ফুলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মত ঝুঁকি কমাতেও বেশ কার্যকর।
  • রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করতেঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সূর্যমুখী বীজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য বিশেষ উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়েটের অংশ হিসেবে যারা প্রতিদিন ১ আউন্স পরিমাণ সূর্যমুখী বীজ ভক্ষণ করে থাকেন তাদের রক্তে শর্করা প্রায় ১০% হ্রাস পায়।
  • শরীরের ওজন কমাতেঃ যারা অনেক ডায়েট করেও ওজন কমাতে পারছেন না, দিন দিন ওজন বেড়েই চলেছে তাদের জন্য সূর্যমুখী বীজ হতে পারে একটি উপাদেয় পথ্য। কারণ, এই বীজের পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার ওজন কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আবার এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে।
  • রক্তাল্পতা দূর করতেঃ নিয়মিত সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং রক্তাল্পতা দূর করে।
  • অনিদ্রা দূর করেঃ যাদের অনিদ্রা রোগের সমস্যা রয়েছে বা রাতে ঘুম হয় না, তারা এই সূর্যমুখী বীজ খেলে এই অনেকটা রোগ খুব সহজেই দূর হবে।
  • বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করেঃ প্রতি আউন্স সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে প্রায় ৩ গ্রাম পরিমাণ মনো আনসেচুরেটেড ৯ গ্রাম পরিমাণ পলি আনসেচুরেটেড চর্বি। এসব চর্বি উচ্চমাত্রায় থাকার কারণে তা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে বেশ সহায়ক।
গর্ভাবস্থায়-সূর্যমুখী-বীজ-খাওয়ার-উপকারিতা-জানতে-বিস্তারিত-পড়ুন
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ সূর্যমুখী ভিজে ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের মত উপকারী উপাদান থাকার কারণে এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • শরীরের বজ্র অপসারণেঃ নিয়মিত সূর্যমুখী ফুলের বীজ খেলে এটি আপনার শরীর থেকে সমস্ত বজ্র পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে।
সুতরাং নিয়মিত সূর্যমুখী ফুলের বীজ খেলে এটি আপনার দৈহিক পুষ্টি চাহিদা তো  পূরণ করবেই এবং সেইসাথে  গর্ভাবস্থায় নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেও আপনাকে খুব সহজেই পরিত্রান দিতে পারে।

সূর্যমুখী বীজ কি?

সূর্যমুখী বীজ কি? সূর্যমুখী ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মতো এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বিধায় এর নামকরণ করা হয়েছে সূর্যমুখী। এর বৈজ্ঞানিক নাম Helianthus annuus সূর্যমুখী ফুলের বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তেলের উৎস হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের ব্যাপক চাষাবাদ হয়। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সাল থেকে সূর্যমুখী একটি তেল হিসেবে আবার হয়ে আসছে। 
এছাড়াও বর্তমানে যশোর ,কুষ্টিয়া ,নাটোর, পাবনা, দিনাজপুর , রাজশাহী , গাজীপুর এবং টাঙ্গাইল প্রভৃতি জেলাতেও এই সূর্যমুখী ফুলের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। অনেক সময় ঘি এর বিকল্প হিসেবে সূর্যমুখী তেলের বীজ ব্যবহৃত হয়। যা বনস্পতি তেল নামে অধিক পরিচিত। সূর্যমুখী ফুলের বীজ হাঁস মুরগির খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজ স্নাক্স হিসেবে বা বিভিন্ন খাবারের সাথে যেমন- সালাদ ,ইয়োগার্ট ইত্যাদির সাথে যোগ করেও খাওয়া যায়।

সূর্যমুখী বীজের পুষ্টিগুণ

গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা জানার পর আপনি নিশ্চয়ই এখন সূর্যমুখী বীজের  পুষ্টিগণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সূর্যমুখী ফুল এর রূপ, সৌন্দর্য এবং বীজের গুণ সব দিক থেকেই অনন্য। প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সূর্যমুখী ফুলের বীজ সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে প্রোটিন ২০%, তেল ৩৪-৪২% এবং ৩১% অসম্পৃক্ততা ফ্যাটি এসিড। এবার চলুন প্রতি 100 গ্রাম সূর্যমুখী ফুলের বীজে পুষ্টিগুণ কত হতে পারে তা আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি---
প্রতি ১০০ গ্রাম খোসা ছাড়ানো শুকনো সূর্যমুখী বীজের পুষ্টিগুণ:
পুষ্টি উপাদান পরিমান
আয়রন ৫.২৫ মিলিগ্রাম
জিংক ৫ মিলিগ্রাম
সেলেনিয়াম ৫৩ মাইক্রোগ্রাম
ফসফরাস ৬৬০ মিলিগ্রাম
মাঙ্গানিজ ১.৯৫ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৩২৫ মিলিগ্রাম
কপার ১.৮ মিলিগ্রাম
ফোলেট ২২৭ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বি১ ১.৪৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৫ ৬.৭৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬ ১.৩৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই ৩৫.১৭ মিলিগ্রাম
ফাইবার ৯ গ্রাম
ফ্যাট ৫১ গ্রাম
প্রোটিন ২১ গ্রাম
ক্যালরি ৫৮৩ গ্রাম
 
সূর্যমুখী বীজের আরো কিছু পুষ্টি উপাদান গুলো হল:
  • তামা
  • আয়রন
  • দস্তা
  • ম্যাঙ্গানিজ
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ফসফরাস
  • ক্যালসিয়াম
  • সেলেনিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • ফ্যাটি এসিড
  • লিনোলিক এসিড ও
  • ওলিক এসিড।
এছাড়াও ভিটামিন হিসেবে সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন ই। তাছাড়া সূর্যমুখী বীজে ফ্লেভোনয়েডস এবং ফেনোলিক এসিডের মত প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে ,যা এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী।

সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা

সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতাও কম নয়। প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আশা করছি আপনারা এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। এবার আপনাদের জানাবো সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা গুলো কি কি হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নিন সূর্যমুখী ফুলের উপকারী--
  • ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী ফুলঃ অনেক সময় রোদে পুড়ে আমাদের ত্বকে ট্যান পড়ে। এই ট্যান দূর করতে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কসমেটিকস বা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। যা আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর । তাই আপনি প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা যেমন ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইট হেডস এবং বলিরেখার মত প্রবণতা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন সূর্যমুখী ফুল। 
  • কারণ, সূর্যমুখী ফুলে রয়েছে লিনোলাইক এসিড যা আপনার ত্বকে মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, সূর্যমুখী তেলের লিনো লাইক এসিড অতি অল্প সময়ে আপনার ত্বকের গভীরে কোন ক্ষত থাকলে তা সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। যাদের ত্বক অতি সংবেদনশীল তারাও চোখ বন্ধ করে নিশ্চিন্তে এই ফুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেঃ আপনি আপনার চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখার জন্য সূর্যমুখী ফুল এবং সূর্যমুখী বীজের তেল ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যমুখী ফুলে বিদ্যমান ওমেগা৬ যা আপনার হারিয়ে যাওয়া চুলের আদ্রতাকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং রুক্ষ শুষ্ক চুলকে করে তোলে ঝলমলে ও সিল্কি।
  • সূর্যমুখী ফুলের তেলঃ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখী ফুল তেল হিসেবেও বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানব দেহের জন্য এই তেল অত্যন্ত উপকারী সূর্যমুখী তেলে রয়েছে উপকারি ওমেগা নয় ওমেগা ছয় ফলিক এসিড এবং শতকরা ১০০% ফ্যাট। ভিটামিন হিসেবে সূর্যমুখী ফুলে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে এবং মিনারেল এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। 
  • ফলে সূর্যমুখীর এই তেল হৃদরোগ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল কমাতে এবং কিডনি রোগের জন্য বেশ নিরাপদ। তাছাড়া ভোজ্য তেল হিসেবে সূর্যমুখী তেল গুণগতমানের দিক থেকে বেশ স্বাস্থ্যসম্মত।
  • স্বাস্থ্যের উন্নতিতেঃ সূর্যমুখী ফুল আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধিতে প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
  • পরিষ্কারক হিসেবে সূর্যমুখী ফুলঃ সূর্যমুখী ফুল শক্তিশালী পরিষ্কার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে দিনের পর দিন। বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোবিউলেট রেডিয়েশন এবং পরিবেশের ক্ষতিকর উপাদান গুলি সরিয়ে ফেলতে পারে এই সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখী ফুল পরিবেশের পরিষ্কারক উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা হয় যা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অতীব জরুরী।
উপরিউক্ত এই উপকারিতা গুলো আপনি কেবলমাত্র সূর্যমুখী ফুল ব্যবহারের মাধ্যমেই পেতে পারেন। তবে এগুলো যেহেতু বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণিত কোন উপকারিতা নয় বা মেডিকেল চিকিৎসা দ্বারা প্রমাণিত নয়, সেক্ষেত্রে সূর্যমুখী ফুল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তবে ব্যবহার করবেন।

সূর্যমুখী বীজের অপকারিতা

সূর্যমুখী বীজের শুধু উপকারিতাই নয় বরং এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এবার চলুন অতিরিক্ত মাত্রায় সূর্যমুখী বীজ সেবনে আপনার কি কি শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নিন-
  • অতিরিক্ত পরিমাণে সূর্যমুখী বীজ সেবনের ফলে এটি আপনার পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
  • যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের সূর্যমুখী বীজ সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা সূর্যমুখী বীজ ব্যবহারের ফলে এটি আপনার ত্বকে ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, মুখের চারপাশে ফোলা ফোলা ভাব এবং চুলকানির মতো লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে।
  • সূর্যমুখী বীজ উচ্চমাত্রার ক্যালরি সমৃদ্ধ। আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত সূর্যমুখী বীজ খাওয়া শুরু করেন এতে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সেই সাথে আপনার হার্টের ও ক্ষতিসাধন করতে পারে।
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত সূর্যমুখী বীজ খাওয়া আপনার কিডনি এবং লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কেননা সূর্যমুখী বীজে ক্যাডমিয়াম নামক একটি ভারী ধাতু থাকে।
  • বাজার থেকে কেনা সূর্যমুখীর লবণাক্ত বীজ অধিক পরিমাণে খেলে এটি আপনার শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • সূর্যমুখী বীজ রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত সূর্যমুখী বীজ সেবন করলে এটি আপনার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত সূর্যমুখী সেবনের ফলে আপনার মুখে ব্রণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
  • সূর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে। আর তাই অতিরিক্ত সূর্যমুখী বীজ খেলে আপনার দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং এতে আপনার রক্তচাপও বেড়ে যেতে পারে।
  • আপনি যদি দূষিত অঙ্কুরিত সূর্যমুখী বীজ খান তাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ সালমোনেলা হতে পারে।
সম্মানিত পাঠক, তাহলে বুঝতেই পারছেন সূর্যমুখী বীজ যেমন আপনার কাজে লাগতে পারে তেমনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে এটি আপনার একাধিক সমস্যারও কারণ হতে পারে। তাই বলবো সূর্যমুখী বীজ খেতে চাইলে আপনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ মেনে তবে খাবেন।

গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা কি? গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? এই প্রশ্ন আমাদের অনেকেরই। এক কথায় বলতে গেলে গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এবং আপনার গর্ভের ভ্রূণের জন্যও ভালো। এবার চলুন  এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন--
গর্ভাবস্থায়-সূর্যমুখী-বীজ-খাওয়ার-উপকারিতা-জানতে-বিস্তারিত-পড়ুন
  • সূর্যমুখী বীজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড। আর এই ফলিক অ্যাসিড গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মা এবং সুস্থ গর্ভধারণের জন্য অত্যাবশ্যক।  কারণ, এটি আপনার শরীরের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ফোলেট কোষের DNA এবং RNA প্রতিলিপি কে উৎসাহিত করে ভ্রূণের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সূর্যমুখীর বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমের পক্ষে বেশ সহায়ক। ফলে গর্ভকালীন সময়ে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে থাকেন তারা এই সূর্যমুখী বীজ খেতেই পারেন। এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা লাঘব হবে।
  • সূর্যমুখী বীজে বিদ্যমান ওমেগা ৩, ফ্যাটি এসিড আপনার গর্ভের ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশে বেশ কার্যকার ভূমিকা পালন করে।
  • গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খেলে এটি আপনার শিরায় শিরায় রক্ত জমাটে বাধা প্রদান করে।
  • গর্ভকালীন সময়ে সূর্যমুখী বীজ সেবনের ফলে এটি আপনার শরীরের আমূল পরিবর্তন প্রতিরোধ করে।
  • গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই সূর্যমুখী ফুলের বীজ।
  • গর্ভাবস্থায়ী এই সূর্যমুখী বীজ খেলে আপনার রক্তচাপের মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • এছাড়াও সূর্যমুখী বীজে ফোলেট, আইরন, জিংক, কপার ক্যালসিয়াম এবং সেলিনিয়াম পাওয়া যায় যা একজন গর্ভবতী মা এবং তার অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজের বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া আজকাল প্রায় আবশ্যকীয় একটি খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে খেয়াল রাখবেন, গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কিনা। তেমন হলে আপনি একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তবেই এই বীজ সেবন করবেন।

সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এবার আমরা জানবো সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা পেতে আপনাকে নিয়ম মেনে এই বীজ খেতে হবে। প্রতিটি খাদ্য উপাদান খাওয়ার কিছু নিয়ম থাকে। তেমনি সূর্যমুখী বীজ খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি নিয়ম মেনে যদি সূর্যমুখীর বীজ খেতে পারেন তবে তা আপনার শরীরের পক্ষে উপকারী হবে। আপনি কোন নিয়মে সূর্যমুখী বীজ খাবেন চলুন তা জানিয়ে দিই --
  • একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৪২ গ্রামের বেশি সূর্যমুখী বীজ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ, অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আপনার পেট ফাঁপা পেটে পেটে ব্যথা পেটে গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে।
  • যেহেতু সূর্যমুখী বীজ প্রচুর ক্যালোরি সম্পূর্ণ তাই সালাদ বা গার্নিশের জন্য প্রতিদিন হুল করা বীজের দুই টেবিল চামচ পর্যন্ত খেতে পারেন।
  • সূর্যমুখী বীজ আপনি কাঁচা অবস্থাতেই খেতে পারবেন। তবে কাঁচা খেতে অসুবিধা হলে আপনি চাইলে এই বীজ শুকনো ভেজে বা মাখন দিয়ে ভেজেও খেতে পারেন। তবে কাঁচা অবস্থায় খেলে বেশি উপকারিতা পাবেন। কারণ, আগুনের তাপে অনেক সময় খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
  • আবার, আপনি বিভিন্ন খাবারের সাথে যেমন- মাফিনস, সালাদ, কুকিজ এবং অন্যান্য স্বাদযুক্ত খাবারের সাথে যুক্ত করেও খেতে পারেন।
  • আবার আপনি চাইলে সূর্যমুখী বীজের গুঁড়ো স্যুপ কিংবা সালাদের ওপর ছড়িয়েও খেতে পারেন।
  • একই খাদ্য উপাদান প্রতিদিন খাওয়ার ফলে সাধারণত ওই খাবারের প্রতি একটা অরুচি ভাব চলে আসে। আর তাই প্রতিদিন একটানা সূর্যমুখী বীজ না খেয়ে একঘেয়েমি দূর করার জন্য আপনি স্ন্যাকস হিসেবে মাঝেমধ্যে অন্যান্য খাবার যেমন- কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কুমড়ার বিচি, চিনা বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন।
উপরিউক্ত পদ্ধতিতে নিয়ম মেনে আপনি যদি প্রতিদিন সূর্যমুখী বীজ খান তাহলে খুব সহজেই বিভিন্ন রোগ ব্যাধির সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

সূর্যমুখী বীজের দাম কত ২০২৪

সূর্যমুখী বীজের দাম কত? সূর্যমুখী বীজের এতসব উপকারিতা জেনে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন। এই বীজের দাম সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোন ধারনা নেই। আজকে আপনাকে সূর্যমুখী বীজের দাম সম্পর্কে জানিয়ে দেব। বর্তমান বাজারে আপনি প্রতি কেজি সূর্যমুখী বীজ পাবেন ২০০ টাকা দরে। তবে বীজ বপনের উপযোগী হিসেবে বিক্রি করলে প্রতি কেজি পাবেন ৮০০ টাকায়। আর আপনি যদি সূর্যমুখীর তেল নিতে চান সে ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সূর্যমুখী তেল পাবেন ১০০০-১২০০ টাকায়।

সূর্যমুখী ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়

সূর্যমুখী ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়? আপনি আপনার হাতের নাগালে বিভিন্ন সুপার মার্কেট থেকে সূর্যমুখী বীজ সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি এইসব সুপার মার্কেটে আপনার পছন্দমত বিভিন্ন ধরনের সূর্যমুখী বীজ খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। যেমন- ভাজা সূর্যমুখী বীজ, সেদ্ধ সূর্যমুখী বীজ এবং খোসা ছাড়ানো সূর্যমুখী বীজ। আবার সুপার মার্কেট ছাড়াও যে কোন খাদ্য সামগ্রীর দোকান থেকেও 
 
আপনি সূর্যমুখী ফুলের বীজ ক্রয় করতে পারেন।এছাড়াও বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেমন ধরুন- অনলাইন শপ, ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও সূর্যমুখী বীজ পেতে পারেন। অনলাইনে আপনি বিভিন্ন প্রকার সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিভিন্ন দামে পেয়ে যাবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

সূর্যমুখী বীজ সেবনের ক্ষেত্রে সতর্কতা

সূর্যমুখী বীজ সেবনের ক্ষেত্রে সতর্কতা মেনে সেবন করা উচিত। সূর্যমুখী বীজ স্বাস্থ্যর  জন্য যদিও উপকারী তবুও সেবনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সতর্ক গুলি অবশ্যই অবলম্বন করবেন। যেমন--
  • সূর্যমুখী বীজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন। মনে রাখবেন, এই বীজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারলে এ বীজের সঙ্গে কালমনিলা নামক একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে আপনার শরীরে।
  • যাদের অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত সূর্যমুখী বীজ কখনোই খাবেন না। কেননা এতে সোডিয়াম রয়েছে যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ এর মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিতে পার
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত সতর্কতা গুলো মেনে সূর্যমুখী বীজ সেবন করলে আপনি  এর থেকে সর্বাধিক উপকারিতা পাবেন এ কথা হলফ করে  বলতে পারি। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন।

গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

গর্ভাবস্থায় সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা কি? এ সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সূর্যমুখী বীজ একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার হিসেবে দিনকে দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি শুধুমাত্র যে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে তা নয় বরং এই বীজ আমাদের ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।
 
সূর্যমুখীর বীজ আকারে ছোট হলেও এর পুষ্টিগুণ এবং কার্যক্ষমতা বলে শেষ করার মত নয়। আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় এই সূর্যমুখী বীজ যোগ করে নিলে এর অসাধারণ পুষ্টিগুণ আপনাকে আরো সুস্থ এবং প্রাণবন্ত করে তুলবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। এই রকম আরো তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url