সিটি ব্যাংক লোন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ২০২৫
সিটি ব্যাংক লোন সম্পর্কে জানতে আপনি আজকে নিশ্চয়ই আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন? সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি কি? জানতে চান? তাহলে বলবো এক্ষুনি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে একবার পড়ে নিন।
আজকের
এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো সিটি ব্যাংকের লোন সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য এবং কি উপায়ে আপনি লোন পেতে পারেন সে সম্পর্কে। সাথে আরও জানবেন সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে আপনার কি কি
যোগ্যতার প্রয়োজন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ সিটি ব্যাংক লোণ
- সিটি ব্যাংক লোন ২০২৫
- সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
- সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
- সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা
- সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন
- সিটি ব্যাংক স্যালারি লোন
- সিটি ব্যাংক হোম লোন
- সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন ২০২৫
- সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য
- সিটি ব্যাংক লোন চার্ট
- সিটি ব্যাংক থেকে বিকাশে লোন
- পরিশেষে লেখকের মন্তব্য
সিটি ব্যাংক লোন ২০২৫
সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যা বিভিন্ন ধরনের লোন এবং ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে লোনের বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করে থাকে যেমন- হোম লোন,পার্সোনাল লোন, অটো লোন, ব্যবসায়িক লোন, সিটি বাইক লোন, শিক্ষা ঋণ, প্রবাসী লোন এবং অন্যান্য বিশেষ ঋণ সুবিধা।সিটি
ব্যাংক হোম লোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিজেদের বাড়ি কেনার জন্য আর্থিক
সহায়তা প্রদান করে থাকে। যেখানে গ্রাহকরা সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারেন এবং
ঋণের মেয়াদ, সুদের হার ব্যক্তির আর্থিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। আপনি
চাইলে সিটি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণও নিতে পারেন।
ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত গ্রাহকের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যেমন- চিকিৎসা খরচ,
বিবাহ
বা বিদেশে পড়াশোনার জন্য দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার
কিছুটা বেশি হলেও এতে ঋণের পরিমাণ এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বেশ ফ্লেক্সিবল
থাকে। আবার অটো লোনের মাধ্যমে একজন গ্রাহক হিসেবে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে
লোন নিয়ে নতুন বা পুরাতন গাড়ি কিনতে পারেন।যেখানে গ্রাহকের আর্থিক
পরিস্থিতি অনুযায়ী ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত করা হয়।
শুধু
তাই নয়, সিটি ব্যাংক ব্যবসায়িক ঋণও প্রদান করে থাকে। যা ব্যবসায়িক
উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ব্যবসার প্রবৃদ্ধি কিংবা নতুন ব্যবসা শুরু
করার জন্য বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, সিটি
ব্যাংকে শিক্ষা ঋণও রয়েছে। শিক্ষা ঋণের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের
বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে থাকে।
এছাড়াও
সিটি ব্যাংক কৃষি ঋণ সহ নানা ধরনের বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। যা
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া সিটি
ব্যাংকে ঋণের আবেদন প্রক্রিয়াও বেশ সহজ এবং দ্রুত হয়। যাতে করে একজন
গ্রাহক সময় মত ঋণ গ্রহণ করতে পারেন কোনরকম বিড়ম্বনা ছাড়াই। সর্বোপরি ব্যাংকটি
সাশ্রয়ী সুদের হার, নির্দিষ্ট নিয়ম এবং শর্তাবলী অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে।
সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু প্রক্রিয়া ও শর্ত পূরণ করতে হবে। যা অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই সিটি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে পারেন। তো চলুন লোন পাওয়ার উপায় গুলো কি কি হতে পারে তা স্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিত জেনে নিন-- লোন নির্বাচন করুনঃ লোন নেওয়ার পূর্বে প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন ধরনের লোন নিতে চান। এই লোন হোম লোন, পার্সোনাল লোন, অটো লোন ব্যবসায়িক লোন, শিক্ষা ঋণ, প্রবাসী ঋণ এবং অন্য যেকোনো ধরনের ঋণ হতে পারে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ঋণ নির্বাচন করাটাই হবে প্রথম পদক্ষেপ।
- এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করাঃ দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হল আপনাকে একটি অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে। আর অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ব্যাংক আপনাকে প্রদান করবে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো জমা নেওয়ার জন্য। এর জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ সিটি ব্যাংকের শাখায় সশরীরে যেয়ে অফিস থেকে এপ্লিকেশন ফর্ম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ করুন। আবার আপনি চাইলে ঘরে বসেও অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুনঃ লোনের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে যেমন ধরুন- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট, আপনার আয়ের প্রমাণাদি যেমন- পে স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আয়ের সনদপত্র, আপনার কর্মসংস্থানের প্রমাণাদি যেমন ধরুন- আপনার ব্যবসায়ী রেজিস্ট্রেশনের ডকুমেন্ট ইত্যাদি।
- ব্যাংক কর্তৃক যাচাই-বাছাইঃ আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করার পর সেটি ব্যাংকে কর্মরত একজন ব্যক্তির কাছে কিংবা অনলাইনে জমা দেবেন। আবেদন জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আপনার সক্ষমতা এবং আবেদনকৃত ঋণের শর্তাবলী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে। শুধু তাই নয়, ব্যাংক আপনার ক্রেডিট স্কোর, আপনার আয়ের উৎস, বর্তমান চাকুরী কিংবা ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ইত্যাদি খুব ভালো করে যাচাই বাছাই করবে। এটি সাধারণত ব্যাংকে কেস স্টাডি হিসেবে পরিচিত।
- ঋণের পরিমাণ এবং শর্তাবলী নির্ধারণঃ সবকিছু যাচাই বাছাই করে ব্যাংক আপনার জন্য ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, ঋণের মেয়াদ এবং ঋণ পরিশোধের শর্তাবলী নির্ধারণ করে দেবে। বলে রাখি, সিটি ব্যাংক সাধারণত একজন গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী এ ঋণের পরিমাণ এবং শর্তাবলী নির্ধারণ করে থাকে।
- ঋণ অনুমোদনঃ অতঃপর ঋণের পরিমাণ, ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল, সুদের হার এবং অন্যান্য শর্তাবলী নির্ধারিত হওয়ার পর ব্যাংক আপনাকে ঋণের জন্য অনুমোদন দেবে। আপনি যদি সরাসরি অফিসে যেয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করেন সেক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি চিঠি পাঠানো হবে এবং অনলাইনে ফরম পূরণ করলে আপনাকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরঃ সাধারণত ঋণ অনুমোদিত হওয়ার পর গ্রাহক এবং ব্যাংক উভয়ের মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই চুক্তি একাধারে আইনি এবং আর্থিক দায়িত্ব নির্ধারণ করে। যেখানে ঋণের শর্তাবলী এবং ঋণ পরিশোধের নিয়মও উল্লেখ থাকে।
- ঋণ বিতরণঃ চুক্তি স্বাক্ষরের পর সিটি ব্যাংক সরাসরি গ্রাহকের ঋণ বিতরণ করে। এক্ষেত্রে আপনি যে ঋণের জন্য আবেদন করেছেন সেটি সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে। আবার কখনো কখনো ঋণটি একটি চেক বা নির্দিষ্ট কোন মাধ্যমেও আপনাকে দেওয়া হতে পারে।
- ঋণ পরিশোধের নিয়মঃ ব্যাংক আপনাকে ঋণ পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা বেঁধে দেবে এবং কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে দেবে। এই কিস্তি আপনাকে সাধারণত প্রতি মাসে বা একটি নির্ধারিত সময় অন্তর পরিশোধ করতে হবে। মনে রাখবেন, সিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি প্রদান করে থাকে যেমন ধরুন- ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক শাখা থেকে লোন পরিশোধ ইত্যাদি।
- ঋণ পরিশোধে সহায়তাঃ আপনি যদি ব্যক্তিগত কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক আপনার মত গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ ঋণ পুনঃপরিকল্পনা বা রি স্ট্রাকচারিং এর সুযোগ দিয়ে থাকে। এতে করে আপনি নতুন শর্তে পুনরায় ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
সিটি ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিতে হয় সে নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। ফলে অনেক সময় লোন পেতে বিড়ম্বনাও পোহাতে হয়। প্রথমেই বলি, সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রত্যেক গ্রাহককেই বেশ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। নিয়মগুলো হল-- প্রথমেই লোনের জন্য আপনাকে আপনার সুবিধামত সিটি ব্যাংকের নিকটতম একটি শাখায় যেতে হবে এবং আপনি লোন নিতে চাচ্ছেন তা ব্যাংকে কর্মরত কোন ব্যক্তিকে জানাতে হবে।
- আপনার যদি সিটি ব্যাংকে পুরাতন কোন একাউন্ট খোলা থাকে সেক্ষেত্রে সেই একাউন্টের নাম্বার জানাতে হবে। আর যদি পূর্বের কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে আপনাকে সিটি ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে।
- এর পর আবেদনকারী হিসেবে আপনাকে ব্যাংকের নির্ধারিত কাগজপত্র যেমন- জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আপনার বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, নমিনির তথ্য, আপনার চাকুরী কিংবা ব্যবসায়ীর ডকুমেন্টস অর্থাৎ ইনকাম সোর্সের প্রমাণপত্র ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।
- সাথে আপনার আয় এবং ব্যয়ের তথ্য যেমন- স্যালারি স্লিপ অথবা ব্যবসার আয় ব্যয়ের বিবরণও জমা দিতে হতে পারে। এছাড়াও আবেদনকারী কে একটি স্থায়ী চাকরি অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার প্রমাণ দিতে হবে। যাতে তার আয়ের স্ফীতি এবং ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে কিনা সেটি প্রমাণিত হয়।
- অতঃপর ব্যাংক তার ক্রেডিট হিস্ট্রি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজন অনুযায়ী সুদের হার, ঋণের পরিমাণ, এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবে।
- জেনে রাখা ভালো, সিটি ব্যাংক সাধারণত পার্সোনাল লোন, হোম লোন, অটো লোন, প্রবাসী লোন, শিক্ষা ঋণ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে এবং প্রত্যেকটি লোন এর জন্য আলাদা আলাদা শর্ত থাকে।
- এছাড়াও সিটি ব্যাংক ঋণ আবেদনকারীর ঋণ ক্ষমতা, ঋণের পরিমাণ এবং ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী ঋণের শর্তাবলী নির্ধারণ করে থাকে।
- আপনি যদি বেশি পরিমাণে লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক জামানত নিয়ে থাকে অর্থাৎ আপনি জমি অথবা বাড়ি কিংবা অন্য কোন সম্পদ ব্যাংকে জামানত রাখার মাধ্যমে লোন নিতে পারেন। তবে অল্প ঋণের ক্ষেত্রে জামানতের প্রয়োজন পড়ে না।
- সবশেষে ঋণ যদি অনুমোদন হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ব্যাংকের সাথে লোনের শর্তাবলী সম্পর্কিত একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয় এবং এর পরপরই ব্যাংক আপনাকে ঋণের টাকা বিতরণ করবে।
সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা কি কি? সেটিও জেনে রাখা জরুরি। সম্মানিত পাঠক, এবার চলুন লোন পাওয়ার জন্য আপনার কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে সেগুলো জেনে রাখুন-- নাগরিকত্বঃ লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ নাগরিক হতে হবে। বিদেশি নাগরিকরা সাধারণত সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন না।
- বয়সঃ আবেদনকারী হিসেবে আপনার বয়স কমপক্ষে ২২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে। তবে লোনের ধরন এবং পরিশোধের শর্ত অনুযায়ী বয়সের সীমা পরিবর্তিত হতে পারে।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ আবেদনকারী হিসেবে আপনার অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড এবং পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- ব্যাংক একাউন্টঃ আবেদনকারীর সিটি ব্যাংকে অবশ্যই একটি স্থায়ী অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন থাকতে হবে। যদি একাউন্ট না থাকে সেক্ষেত্রে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- লোনের পরিমাণঃ আপনি সিটি ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন। তবে লোন পরিশোধ করার সক্ষমতা বা লোন পরিশোধ করার মতো স্থায়ী সম্পত্তি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ, সিটি ব্যাংক সাধারণত একটি নির্দিষ্ট আয় স্তরের নিচে ঋণ প্রদান করে না।
- আর্থিক ও পেশাগতঃ আবেদনকারীকে অবশ্যই কর্মরত ব্যাক্তি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী হতে হবে। আপনি যদি চাকুরীজীবী হন সে ক্ষেত্রে আপনার চাকুরীর অভিজ্ঞতা অন্তত ১ বছর থাকতে হবে এবং সরকারি, বেসরকারি, অথবা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি থাকতে হবে। আর আবেদনকারী যদি ব্যবসায়ী হন সে ক্ষেত্রে তার ব্যবসার স্থিতিশীলতা প্রমাণ করতে হবে অর্থাৎ ব্যবসার ১-২ বছরের হিসাব এবং আয় ব্যয়ের রেকর্ড প্রমানাদি সহকারে জমা দিতে হবে।
- আয়ের উৎসঃ আবেদনকারীর আয়ের উৎস অবশ্যই সুনির্দিষ্ট এবং নিয়মিত হতে হবে। কারণ, ব্যাংক সাধারণত প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়-প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে থাকে। যেমন ধরুন- পে স্লিপ, আয়কর রিটার্ন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
- ঠিকানাঃ আবেদনকারীকে তার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র সহ প্রদান করতে হবে যেমন- বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল অথবা রেজিস্ট্রেশন সনদ।
- ক্রেডিট স্কোর যাচাই-বাছাইঃ সিটি ব্যাংক সাধারণত লোন দেওয়ার পূর্বে আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর যাচাই-বাছাই করে থাকে। অর্থাৎ আপনি ব্যাংক কিংবা অন্যান্য ঋণ দাতাদের সাথে পূর্ববর্তী ঋণ সঠিকভাবে পরিশোধ করেছেন কিনা সেটি। যদি আপনার ক্রেডিট খারাপ হয় সেক্ষেত্রে আপনার লোন অনুমোদিত নাও হতে পারে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ আবেদনকারীর একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি, আয়ের উৎস ইত্যাদি জমা দিতে হবে। আর যাদের ব্যবসা রয়েছে তাদের ব্যবসার নিবন্ধন, ট্যাক্স আইডি, আয়কর রিটার্ন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দলিল প্রদান করতে হবে।
- স্বীকৃত প্রোপার্টি বা গ্যারান্টরঃ আপনার লোনটি যদি সিকিউরড হয় যেমন ধরুন- হোম লোন বা গাড়ি লোন। তবে প্রপার্টি বা গাড়ি শর্তসাপেক্ষে জামানত হিসেবে রাখা হতে পারে। আবার কিছু কিছু লোনের ক্ষেত্রে গ্যারান্টরের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্যারেন্টরেরও নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে যেমন তার নিজস্ব আয়ের প্রমাণ ও ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকা।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন, যা আপনি আপনার ব্যক্তিগত খরচের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণ, বাড়ি কেনা বা সংস্কার কিংবা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারেন। সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন একটি সুরক্ষাহীন লোন।অর্থাৎ
এই লোনের জন্য আপনার কোন জামানত বা গ্যারেন্টের দিতে হয় না। এবার চলুন
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের পরিমাণ, সুদের হার, লোনের মেয়াদকাল, আবেদন
প্রক্রিয়া, পার্সোনাল লোন এর সুবিধা, পার্সোনাল লোনের শর্তাবলী ইত্যাদি
বিষয়ে খুঁটিনাটি জেনে রাখুন-
হোম লোনের উদ্দেশ্যঃ
সিটি ব্যাংক হোম লোনের জন্য আবেদন করার বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন-
- লোনের পরিমাণঃ সিটি ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত লোন হিসেবে আপনি সর্বনিম্ন ২ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। তবে পার্সোনাল লোন এর পরিমাণ সাধারণত আপনার আয়, ক্রেডিট স্কোর এবং ব্যাংকের শর্তাবলীর ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে। যদিও সর্বাধিক লোনের পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা, তবে এটি সেই সকল আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য, যারা দীর্ঘ সময় ধরে কর্মরত আছেন এবং যাদের আয়ের পরিমাণ মোটামুটি ভালো।
- পার্সোনাল লোন এর সুদের হারঃ সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের সুদের হার সাধারণত ১২% - ১৮% পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই হার নির্ভর করবে আপনার মাসিক আয় এবং অন্যান্য শর্তের উপর। তাছাড়া সিটি ব্যাংক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম অফার দিয়ে থাকে। তাই সুদের হার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিতও হতে পারে।
- পার্সোনাল লোনের মেয়াদকালঃ সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের মেয়াদকাল সাধারণত ১-৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে আপনি আপনার সুবিধামতো কিস্তির মেয়াদ নির্বাচন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মেয়াদ বাড়ানোর সাথে সাথে আপনার কিস্তির পরিমাণ কমবে এবং এর উপর ভিত্তি করে মোট সুদের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
- আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২১ এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে।
- সিটি ব্যাংক সাধারণত চায় আবেদনকারীর মাসিক আয় যেন অন্ততপক্ষে যেন ১৫ হাজার টাকা বা তার বেশি হয়। অর্থাৎ আপনার মাসিক আয় কমপক্ষে ১৫ হাজার হতে হবে।
- আপনি যদি চাকুরীজীবী হন সে ক্ষেত্রে ১ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর ব্যবসায়ী হলে ব্যবসা চালু থাকতে হবে কমপক্ষে দুই বছর।
- আপনার ক্রেডিট স্কোর যদি ভালো হয়ে থাকে তাহলে লোনের পরিমাণ এবং সুদের হার আপনার জন্য সুবিধা জনক হতে পারে।
- অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণঃ আপনি সিটি ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে কিংবা সরাসরি শাখায় যেয়েও আবেদন করতে পারেন।
- আবেদনপত্র জমা দিনঃ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আবেদনপত্রের সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, মাসিক আয় বা স্যালারি স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আয়ের প্রমাণপত্র আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।
- ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাইঃ সিটি ব্যাংক আপনার আবেদনকারীর সাথে জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবে এবং তার ক্রেডিট স্কোর দেখে লোনের পরিমাণ এবং শর্তাবলী নির্ধারণ করে দেবে।
- লোন মঞ্জুরঃ সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে ব্যাংক আপনার লোনটি অনুমোদন করে দেবে এবং আপনাকে লোনের পরিমাণ, সুদের হার, কিস্তি এবং অন্যান্য শর্ত সময়মতো জানিয়ে দেবে।
- এই লোনের জন্য আপনার কোন জামানত বা গ্যারান্টিয়ার প্রয়োজন হবে না।
- সিটি ব্যাংক সাধারণত খুব দ্রুত লোন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।
- আপনি আপনার সুবিধা এবং সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
- মাসিক কিস্তির মাধ্যমে আপনি লোন পরিশোধের সুযোগ পাবেন।
- ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক আপনার মাসিক আয় এবং আর্থিক স্থিতি ব্যাংকের শর্তানুসারে ঠিক করা হবে।
- আপনি যদি মাসিক কিস্তির সময় মত পরিশোধ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার অতিরিক্ত সুদের চার্জ এবং লেট ফি বাড়াতে পারে।
- লোন পরিশোধের আগেই আপনি যদি লোন চুকিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার থেকে অতিরিক্ত কিছু ফি আদায় করবে।
- লোন সুদের হার, প্রসেসিং ফি দেরি হলে অতিরিক্ত চার্জ ইত্যাদি বিষয় আপনার পার্সোনাল লোনের শর্তের মধ্যে পড়বে।
সিটি ব্যাংক স্যালারি লোন
সিটি ব্যাংক স্যালারি লোন নিতে হলে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র জমা দিতে হয়। সাধারণত আয়কারী কর্মীদের জন্য অর্থাৎ যাদের নির্দিষ্ট মাসিক ইনকাম রয়েছে তাদের জন্য সিটি ব্যাংক স্যালারি লোন প্রদান করে থাকে। এবার চলুন সিটি ব্যাংকের স্যালারি লোনের সুবিধা, আবেদন প্রক্রিয়া এবং এই লোন নিতে আপনার কি কি নথিপত্র লাগবে তা জেনে নিন-- লোনের পরিমাণঃ স্যালারি লোন নিতে লোনের পরিমাণ নির্ভর করবে অনেকটাই আপনার মাসিক আয়ের উপরে। আপনি যদি পূর্ণকালীন একজন চাকরিজীবী হন সেক্ষেত্রে লোনের পরিমাণ আপনার মাসিক আয়ের ১০-১৫ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। আর গড় লোনের পরিমাণ সাধারণত ১ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত লোন চান সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক হিসাব, আয় এবং অন্যান্য শর্ত অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে সেটি বাড়ানো যেতে পারে।
- আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
- আপনার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে অর্থাৎ লোন পরিশোধের সময়সীমা পর্যন্ত এই বয়স প্রযোজ্য হবে।
- আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে স্যালারি পাচ্ছেন সেটি সিটি ব্যাংকের সাথে পার্টনারশিপ থাকা প্রতিষ্ঠান হতে হবে। তবে আপনার প্রতিষ্ঠান যদি সিটি ব্যাংকের সাথে পার্টনারশিপে না থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার প্রতিষ্ঠানের বেতনের ব্যাপারে পর্যালোচনা করবে।
- আপনার মাসিক আয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা হতে হবে।
- স্যালারি লোনের জন্য আবেদন করার সময় ব্যাংকে আপনার এমপ্লয়ার সার্টিফিকেট বা বেতন প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট
- আপনার সর্বশেষ বেতন স্লিপ যাতে আপনার চাকরির আয়ের প্রমাণাদি থাকে।
- আবেদনকারী কে নিয়মিত চাকরির আওতায় থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আবেদনকারী সিটি ব্যাংকের সাথে পার্টনারশিপ সম্পর্কিত কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
- পূর্ববর্তী তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের নথিপত্র থাকতে হবে।
- আপনার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার প্রমাণপত্র এবং
- আপনার আয়ের ওপর আয়কর রিটার্ন বা অন্যান্য আয়-প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
- সুদের হারঃ স্যালারি লোনের জন্য সিটি ব্যাংক সাধারণত ১২% থেকে ১৫% পর্যন্ত সুদ প্রদান করে থাকে। তবে এটি নির্ভর করবে আপনার স্যালারি, মেয়াদ এবং ব্যাংকের বিভিন্ন শর্তাবলীর ওপর।
- মেয়াদকালঃ স্যালারি লোনের মেয়াদ সাধারণত ১-৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে আপনি চাইলে এই মেয়াদ আরো কমিয়ে নিতে পারেন।
- স্যালারি লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনি ইএমআই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ঋণ শোধ করতে পারেন।
- আবার স্যালারি লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে অটোমেটিক ডেবিট পদ্ধতিও ব্যবহৃত হয়। যেখানে আপনার স্যালারি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তি কাটা যায়।
- সিটি ব্যাংক স্যালারি লোনের আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং দ্রুত। এর জন্য আপনাকে ন্যূনতম ডকুমেন্টেশন এবং কর্মস্থলের পরিচিতি প্রদান করতে হবে।
- সিটি ব্যাংক স্যালারি লোন প্রক্রিয়া এবং শর্ত সমূহ খুব স্পষ্টভাবে গ্রাহককে জানিয়ে দেয় যা গ্রাহকদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হয়।
- আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী লোন নিতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী শর্তাদির আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।
- সিটি ব্যাংক অত্যন্ত কম সুদ হার দিয়ে লোন প্রদান করে থাকে।
- আপনি চাইলে ঘরে বসে থেকে সিটি ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
- আপনি সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে লোন পেমেন্ট করতে পারেন।
- সিটি ব্যাংক স্যালারি লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করার পর থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ ২-৭ কার্য দিবসের মধ্যে আপনার লোন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তবে এই সময়কাল আপনার ব্যাংক এবং ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ার উপর অনেকটাই নির্ভর করবে।
সিটি ব্যাংক হোম লোন
সিটি ব্যাংক হোম লোন বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাংকিং সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি। এই ঋণের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের আবাসন বা বাড়ি কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ আপনি একজন গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক হোম লোনের মাধ্যমে আপনার স্বপ্নের বাড়ি খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন। এবার চলুন সিটি ব্যাংক হোম লোনের শর্তাবলী, সুদের হার, ঋণের পরিমাণ এবং অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-হোম লোনের উদ্দেশ্যঃ
- সিটি ব্যাংক মূলত গ্রাহকদের হোম লোন দিয়ে থাকে বাড়ি কেনা, বাড়ি নির্মাণ, বাড়ি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের জন্য। আপনি যদি নতুন বাড়ি বা এপার্টমেন্ট কিনতে চান অথবা পুরনো বাড়ির সংস্থার বা রেনোভেশন করতে চান সেক্ষেত্রে খুব সহজেই সিটি ব্যাংক হোম লোন নিতে পারেন।
- সিটি ব্যাংক হোম লোনের জন্য আপনি সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
- তবে ঋণের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার আয়ের পরিমাণ, আপনার প্রপার্টি মূল্য এবং ব্যাংকের অন্যান্য শর্তাবলির ওপর।
- এই ঋণ মূলত বাড়ি কেনা বা সম্পত্তি কেনার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আপনি চাইলে এই ঋণ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ, সংস্কার বা রেনোভেশনও করতে পারেন।
- সিটি ব্যাংক হোম লোনের সুদের হার সাধারণত ৭% -৮% এর মধ্যে হয়। তবে এটি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
- আবার সুদের হার নির্ধারণের সময় ব্যাংক আপনার ঋণের পরিমাণ, ঋণের মেয়াদ ইত্যাদি পর্যালোচনা করতে পারে।
- সুতরাং সুদের হার প্রাথমিকভাবে কিছুটা কম হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ফ্লোটিং রেট হতে পারে যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।
- সিটি ব্যাংক হোম লোন সাধারণত ৫-২৫ বছরের জন্য প্রদান করে থাকে। তবে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে আপনি নিজেই ঋণের মেয়াদ নির্ধারিত করতে পারবেন।
- সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে ইএমআই (EMI) কম থাকে তবে সুদের হার পরিমাণে বেশি হয়ে যেতে পারে।
- সিটি ব্যাংক হোম লোনের EMI পরিশোধ মাসিক ভিত্তিতে করতে হবে। আপনি চাইলে সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং চেক অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইএমআই (EMI ) পরিশোধ করতে পারেন।
- আবার আপনি যদি অগ্রিম EMI পরিশোধ করতে চান সেক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে কিছু ফি চার্জ করতে পারে।
- আপনি সিটি ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। আবার আপনি সশরীরে আপনার নিকটস্থ যে কোন সিটিব্যাংকের শাখায় যেয়েও আবেদন করতে পারেন।
- হোম লোনের আবেদনের জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমন- আপনার আয় এর প্রমাণাদি অর্থাৎ সেলারি স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়কর রিটার্ন, জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আপনার জন্ম সনদ, আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান বাসস্থানের ডকুমেন্টস।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আপনার আর্থিক সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করবে এবং প্রপার্টি মূল্যায়ন করে ঋণের পরিমাণ, সুদের হার এবং অন্যান্য শর্তাবলী চূড়ান্ত করবে।
- অতঃপর আপনি যদি ঋণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন সে ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার জন্য ঋণ অনুমোদন করে দেবে।
সিটি ব্যাংক হোম লোনের জন্য আবেদন করার বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন-
- আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ২১-৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আবেদনকারীর পর্যাপ্ত আয় থাকতে হবে যাতে করে মাসিক ঋণ বা কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব হয়।
- চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী কিংবা অন্যান্য পেশাদারদের জন্য আলাদা আলাদা শর্ত থাকে।
- আপনার ক্রেডিট স্কোর সাধারণত ৭০০ বা তার বেশি থাকা আবশ্যক।
- কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রাথমিক প্রক্রিয়া ও লোনের পূর্ব অনুমোদন ফি, প্রপারটি ভ্যালুয়েশন ফি এবং অন্যান্য কিছু ফি চার্জ ধার্য করতে পারে।
- সিটি ব্যাংক গ্রাহকের কাছে বাড়ির মালিকানা নিশ্চিত করতে চাইবে। যাতে করে সেই প্রপার্টির বিরুদ্ধে লোন প্রদান করতে পারে।
- সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের হোম লোন সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার সমাধানে অতি দ্রুত সেবা প্রদান করে থাকে।
- আপনি আপনার নিজের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী (EMI)ইএমআই নির্ধারণ করতে পারবেন।
- আবার আপনি যদি সিটি ব্যাংকের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করে থাকেন সেক্ষেত্রে তারা পূর্ব অনুমদিত ঋণ প্রদান করতে পারে। ফলে দ্রুত ঋণ পাওয়ার সুযোগ থাকে।
সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন ২০২৫
সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন একটি বিশেষ ঋণ সুবিধা যা প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য সিটি ব্যাংক কর্তৃক প্রদান করা হয়। এই ঋণের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই বোনদের পরিবারের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা। এবার চলুন সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন-- ঋণের পরিমাণঃ সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীরা সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। তবে জামানতবিহীন ঋণের ক্ষেত্রে এর সীমা ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই ঋণ প্রবাসীদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিভিন্ন পরিমাণে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি প্রবাসী গ্রাহকদের জন্যও রয়েছে অতিরিক্ত বিশেষ কিছু সুবিধা।
সুদের হারঃ
- প্রবাসী পুরুষদের জন্য সুদের হার ৯% এবং নারী প্রবাসীদের জন্য সুদের হার ৭%।
- সুদের হার সাধারণত বার্ষিক এবং এটি ঋণের মেয়াদ ও অন্যান্য শর্তের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়।
- একজন প্রবাসী হিসেবে আপনি প্রবাসী ঋণ ৩-১০ বছর পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারেন। ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় ঋণের পরিমাণ, প্রবাসীর মাসিক আয় এবং পরিশোধ ক্ষমতার ভিত্তিতে।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রবাসী বাংলাদেশী হতে হবে।
- আবেদনের জন্য প্রবাসী গ্রাহককে তাদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রমাণাদি দিতে হবে।
- প্রবাসী গ্রাহকদের কাছে ভিসা, পাসপোর্ট এবং বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- পাসপোর্ট।
- প্রবাসে কাজ করার বা রেমিটেন্স পাঠানোর প্রমাণ যেমন- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- ভিসা বা কাজের অনুমতি পত্র এবং
- প্রবাসী গ্রাহকের আয়ের প্রমাণপত্র।
- প্রবাসী লোনের জন্য আপনি আপনার সিটি ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় সরাসরি যোগাযোগ করে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন।
- আবেদন ফরমটি পূরণ করে তার সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিন।
- অতঃপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই-বাছাই করে ঋণ অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
- সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোনে নারী প্রবাসীদের জন্য সুদের হার কম রাখা হয়েছে। যা নারীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
- প্রবাসী ঋণ সাধারনত রেমিটেন্স এর ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। ফলে জামানতের কোন প্রয়োজন পড়ে না।
- প্রবাসী ঋণ গ্রহণের পর আপনি দীর্ঘ সময় ধরে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন ফলে প্রবাসীদের জন্য আর্থিক চাপ অনেকটাই কম থাকে।
- সিটি ব্যাংক বিশেষভাবে প্রবীণ প্রবাসীদের জন্যও ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সহজেই ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
- ঋণ গ্রহণ করার পর একজন সচেতন গ্রাহক হিসেবে আপনার ঋণ পরিশোধের সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করা উচিত। কেননা যদি কোন কারণে ঋণ সমিত পরিশোধ করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধি পারে এবং ঋণ পরিশোধে আরও জটিলতা বাড়তে পারে।
- সময়ের সাথে সাথে আপনার এ ঋণের পরিমাণ এবং শর্তাবলী পরিবর্তন হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন নিয়মিত ব্যাংক বা ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য নিজের সংগ্রহে রাখতে।
সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য
সিটি ব্যাংক থেকে আপনি কি কি ধরনের লোন পেতে পারেন তা আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এছাড়াও সিটি ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ ধরনের লোন অফার করে থাকে। এই লোনগুলি সাধারণত সহজ শর্তে এবং আকর্ষণীয় সুদ হারে প্রদান করা হয়। এবার চলুন সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য লোনের প্রকারভেদ এবং এর সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-লোনের প্রকারভেদঃ সিটি ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য সাধারণত চার ধরনের লোন দিয়ে থাকে। যেমন -
- পার্সোনাল লোনঃ এই লোনটি সাধারণত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যেমন- চিকিৎসা, শিক্ষা, গৃহ সংস্কার, ভ্রমন ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রদান করা হয়। একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকবে ১১-৬০ মাস পর্যন্ত।
- হোম লোনঃ হোম লোন সাধারণত বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা, বাড়ি নির্মাণ অথবা বাড়ি সংস্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। হোম লোনের জন্য আপনি ৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন সিটি ব্যাংক থেকে। লোন পরিশোধের জন্য সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে আপনি সময় পাবেন নূন্যতম ১-২৫ বছর পর্যন্ত।
- সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনঃ সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানাদি এবং সকল শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনও প্রদান করে থাকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশ গমনে এই লোন প্রদান করা হয়। একজন সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে আপনি আপনার সন্তানের জন্য স্টুডেন্ট লোন হিসেবে সিটি ব্যাংক থেকে
- নূন্যতম ১ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্টুডেন্ট লোন নিতে পারেন। তবে এই লোন পরিশোধের সময়সীমা অন্যান্য লোনের থেকে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসেবে আপনি স্টুডেন্ট লোন পরিশোধের সময় পাবেন ১-৫ বছর পর্যন্ত।
- সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোনঃ সিটি ব্যাংক অটো লোনের পাশাপাশি সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোনও দিয়ে থাকে। কারণ, সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের অনেকেরই নতুন গাড়ি কেনার সামর্থ্য থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনি একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে এই লোন লুফে নিতে পারেন।
- সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোন এর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে গাড়ির মোট মূল্যের ৫০% টাকা লোন হিসেবে নিতে পারবেন। সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে। এই লোন পরিশোধের জন্য আপনি সময় পাবেন ১-৬ বছর পর্যন্ত।
সিটি ব্যাংক লোন চার্ট
সিটি ব্যাংক লোন চার্ট কি? আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি সিটি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন যেমন- হোম লোন, অটো লোন, পার্সোনাল লোন, এডুকেশন লোন, স্যালারি লোন ইত্যাদি প্রদান করে। এবার চলুন এই প্রত্যেকটি লোনের লোন চার্ট নিচে একটি ছকের মাধ্যমে দেখে নিন-লোনের ধরন | সুদের হার | মেয়াদ | ঋণের পরিমাণ |
---|---|---|---|
পার্সোনাল লোন | ১১% - ১৮% | ১ বছর - ৫ বছর | ৫০ ০০০ - ১০ ০০ ০০০ টাকা |
অটো লোন | ৯% - ১৫% | ১ বছর - ৫ বছর | ৩০ ০০০০ - ৪০ ০০০০০ টাকা |
স্যালারি লোন | ১২% - ১৫% | ১ বছর - ৫ বছর | ১০ ০০০০ - ২০ ০০০০০ টাকা |
শিক্ষা ঋণ | ৬% - ১০% | ৫ বছর - ১০ বছর | ৫০ ০০০ - ৩০ ০০০০০ টাকা |
হোম লোন | ৭% - ৮% | ১ বছর - ২৫ বছর | ৫০০০০০ - ১২০ ০০০০০ টাকা |
সিটি ব্যাংক থেকে বিকাশে লোন
সিটি ব্যাংক থেকে বিকাশে লোনের প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং সুবিধা জনক একটি উপায়। বিশেষ করে যাদের দ্রুত ক্যাশ প্রয়োজন। এই লোন ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই তাদের বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। যা আপনার দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক হবে।বর্তমান
সময়ে সিটি ব্যাংক এবং বিকাশের পার্টনারশিপের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য এই
লোন প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর জন্য গ্রাহকদের
শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে এবং নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী পূরণ
করতে হবে। সিটি ব্যাংক বিকাশে লোনের জন্য গ্রাহক হিসেবে আপনার কিছু যোগ্যতা
থাকাও প্রয়োজন।
যেমন- গ্রাহক হিসেবে আপনাকে ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস প্রদান
করতে হতে পারে যেমন- জাতীয় পরিচয় পত্র, আপনার কর্মসংস্থানের প্রমাণ পত্র।
এই লোনের পরিমাণ একজন গ্রাহকের আয় এবং তার ক্রেডিট স্কোরের উপর অনেকাংশেই
নির্ভরশীল। আবার লোন পরিশোধের জন্য গ্রাহকের বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে
সহজেই
টাকা পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। যাতে আপনি সময়মতো কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ
করতে পারেন। যদিও সিটি ব্যাংক থেকে বিকাশে লোন প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ
এবং সুবিধাজনক। তবুও এই লোন গ্রহণের পূর্বে গ্রাহকদের উচিত তাদের আর্থিক
অবস্থার পর্যালোচনা করার এবং সুদের হার ও পরিশোধের শর্তাবলী বুঝে সিদ্ধান্ত
নেওয়া।
পরিশেষে লেখকের মন্তব্য
সিটি ব্যাংকের লোন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আজকের আর্টিকেল আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। মনে রাখবেন যথাযথ পরিকল্পনা ও সতর্কতার সাথে লোন নেওয়া হলে এটি আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।তবে
যে কোনো ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথমে আপনি আপনার আর্থিক
অবস্থা এবং ঋণ পরিশোধ ক্ষমতা মূল্যায়ন করবেন। যাতে ভবিষ্যতে কোন ধরনের
আর্থিক চাপ সৃষ্টি না হয়। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং ব্যাংক ঋণ
সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটটি ঘুরে
আসার আমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url