জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় জানুন

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় সত্যিই! জোভিয়া গোল্ড এর কাজ কি কি জানতে চান? তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন। জোভিয়া গোল্ড সিরাপ মূলত একটি মাল্টিভিটামিন ও মাল্টি মিনারেল সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট।
জোভিয়া-গোল্ড-সিরাপ-খেলে-কি-মোটা-হয়-জানুন
এটি শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সহায়ক। বিশেষ করে শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি যারা ট্যাবলেট খেতে পারেন না তাদের জন্য উপযোগী। আজ আমরা আলোচনা করবো জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে আদৌ মোটা হওয়া যায় কিনা এবং এই সিরাপের কার্যকারিতা সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়? অনেকেই জানতে চান। তাহলে জেনে রাখুন, জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সরাসরি মোটা হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত নয়, তবে এই সিরাপটি সেবনে পরোক্ষভাবে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ, এটি একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল টনিক, যা মূলত শরীরের দুর্বলতা দূর করে,
 
ক্ষুধা বাড়ায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সিরাপটিতে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন, জিংক এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং শরীরের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করে। ফলে ক্ষুধা আগের থেকে বেড়ে যায় এবং স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি চাহিদা বাড়ে।
 
ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করলে আপনার ওজনও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আপনি যদি নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে এই সিরাপ সেবন করেন এবং সঠিক খাদ্যাভাস ও শরীর চর্চা বজায় রাখেন, তাহলে এই সিরাপ খাওয়ার কারণে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, জোভিয়া গোল্ড কোন হরমোন বা স্টোরয়েড নয়।
 
সুতরাং এটি সরাসরি শরীরের ওজন বাড়াতে পারে না। বরং শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। আপনাদের যাদের ওজন কম বা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি আছে বলে মনে করেন তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী একটি সিরাপ হতে পারে। তবে যাদের ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জোভিয়া সিরাপ সেবন করবেন।

জোভিয়া গোল্ড এর কাজ

জোভিয়া গোল্ড এর প্রধান কাজ কি কি? জোভিয়া গোল্ড একটি পুষ্টিকর ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট। যা মূলত আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে কাজ করে। এতে থাকা কোলাজেন আমাদের ত্বক, চুল এবং নখ মজবুত ও উজ্জ্বল করে তোলে। এই সম্পূরকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে
 
এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল কমিয়ে বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস করে। জোভিয়া গোল্ড নিয়মিত সেবনে ত্বক হয় আরো উজ্জ্বল, মসৃণ ও টানটান। কারণ, এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়িয়ে বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। আপনার চুলের যে কোন সমস্যা যেমন ধরুন- অকালে চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা, নতুন চুল গজানো ইত্যাদির জন্য
জোভিয়া-গোল্ড-সিরাপ-খেলে-কি-মোটা-হয়-জানুন
সেবন করতে পারেন জোভিয়া গোল্ড সিরাপ। এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। আবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা এবং হাড় মজবুত করতেও এই সিরাপটি দারুন উপকারী। আবার আমাদের শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও এই সিরাপটি কার্যকার ভূমিকা রাখে। 
 
বিশেষ করে মা বোনদের মাসিক চক্র নিয়মিত করতেও জোভিয়া গোল্ড সিরাপ দারুণ কাজ করে। এটি হজম শক্তি ও রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে যা আপনার শরীরের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। মোটকথা নিয়ম মেনে দীর্ঘমেয়াদে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ ব্যবহার করলে আপনার শরীরের শারীরিক ক্লান্তি ভাব দূর হবে, শরীর প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং শরীর ভেতর থেকে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কি? আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না। কিন্তু এর উপকারিতা পরিপূর্ণরূপে পেতে সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে রাখাটাও জরুরী। সাধারণত বয়স ভেদে জোভিয়া গোল্ড সিরাপের ডোজ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এবার চলুন জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই -

বয়স ভেদে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়মঃ
১ বছর বয়সী শিশুর জন্যঃ
  • আপনার শিশুর বয়স যদি ১ বছর হয় তাহলে প্রতিদিন ১ চা চামচ করে এই সিরাপ খাওয়াতে পারেন।
১-৩ বছর বয়সী শিশুদের জন্যঃ
  • আপনার শিশুর বয়স যদি ১-৩ বছরের মধ্যে হয় তাহলে প্রতিদিন ১ বার করে ১-২ চা চামচ করে এই সিরাপ খাওয়াতে পারেন।
  • অবশ্যই খাবার খাওয়ার পরে সিরাপটি খাওয়াবেন। এতে আপনার শিশুর হজমের সমস্যা হবে না এবং সিরাপের ভিটামিন গুলো শরীরে শোষিত হয়ে যাবে।
৪-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্যঃ
  • শিশুর বয়স যদি ৪ থেকে ১২ বছরের মধ্যে হয় সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন ২ বার করে ২-৩ চা চামচ সিরাপ শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
১৩ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যঃ
  • কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা দুবার ২-৩ চা চামচ করে এই সিরাপ খেতে পারেন।
সতর্কতাঃ
  • শিশুদের ক্ষেত্রে সিরাপের ডোজ কখনোই অতিরিক্ত দেওয়া উচিত নয়। সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • যদি আগে থেকেই আপনি অন্য কোন ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করছেন এমনটা হয়, সেক্ষেত্রে ডাবল ডোজ এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার ডায়াবেটিস কিডনি বা অন্য কোন জটিলতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবন করুন।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এই সিরাপটি খাওয়ার সঠিক সময় হল খাবার খাওয়ার পর। কারণ, খাবার খাওয়ার পরে খেলে এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগলো আপনার শরীর খুব সহজেই শোষণ করে নিতে পারে। উপরিউক্ত নিয়ম মেনে এবং বয়স অনুযায়ী ডোজ অনুসরণ করলে এটি সবচেয়ে নিরাপদ হবে।

জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম কি জানতে চান? অনেকেই আছেন যারা সিরাপ খেতে পছন্দ করেন না। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্করা জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাছাড়া গোল্ড ট্যাবলেট মূলত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টিভিটামিন, যা মূলত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই তৈরি। এটি দৈনন্দিন পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
 
সেইসাথে  শারীরিক ও মানসিক চাপ, দীর্ঘ দিনের রোগ সংক্রমণ, অপারেশন, বার্ধক্য, গর্ভাবস্থা, অতিরিক্ত ডায়েটিং, স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ইত্যাদি অবস্থায় শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে আপনি প্রতিদিন ১টি করে জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খেতে পারেন।
 
এই ট্যাবলেট গ্রহণের উপযুক্ত সময় হল খাবারের পর। বিশেষ করে সকালে নাস্তার এই ট্যাবলেটটি খেলে এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আপনার শরীরে খুব সহজে শোষিত হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি সহ ট্যাবলেটি গিলে খেয়ে ফেলুন। কখনোই চিবিয়ে খাবেন না। আবার আপনার যদি কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকে বা ঔষধ সেবন করছেন,
 
সেক্ষেত্রে খানিকটা সতর্কতা অবলম্বন করে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ট্যাবলেট সেবন করা উচিত। মনে রাখবেন, নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ট্যাবলেট বেশি গ্রহণ না করাই উত্তম। কারণ, এতে ওষুধের উপাদান গুলোর কারণে আপনার শরীরের টক্সিসিটি তৈরি হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

জোভিয়া গোল্ড খেলে কি হয়

জোভিয়া গোল্ড খেলে কি হয়? এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আবার অনেকেই মনে করেন জোভিয়া গোল্ড খেলে হয়তো মোটা হওয়া যায়। কিন্তু এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। জোভিয়া গোল্ড সিরাপ বা ট্যাবলেট একটি মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সম্পূরক যা খেলে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
 
সাথে শারীরিক ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি শরীরে অতিরিক্ত শক্তির যোগান দেয়। আবার এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকার কারণে এটি নার্ভের কার্যকারিতা ঠিক রাখতেও সহায়তা করে। পাশাপাশি শরীরের নতুন কোষ গঠনে এবং চুল ত্বক ও নখের জন্য এই সিরাপটি বিশেষভাবে উপকারী। আপনাদের যাদের অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীর অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছে
 
কিংবা সবসময় শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন, বিশেষ করে তাদের জন্য জোভিয়া গোল্ড অনেকটা ম্যাজিকের মত কাজ করে। এটি হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও কাজ করে। ফলে আপনি অ্যানিমিয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আবার যেকোন অপারেশনের পর শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য জোভিয়া গোল্ড খেলে এটি শরীরের শারীরিক শক্তি পুনরুদ্ধারে কাজ করে।
 
সুতরাং বুঝতেই পারছেন শিশু বয়স্ক বা দুর্বল রোগীদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত পথ্য। তবে গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মায়েদের জোভিয়া গোল্ড সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। সবশেষে একটি কথা মনে রাখবেন, এটি একটি সাপ্লিমেন্ট মাত্র মূল খাবারের বিকল্প কখনোই নয় বরং সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে মোটা হওয়া যায় কিনা তা আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এবার আমরা আপনাদের জানাবো জোভিয়া গোল্ড সিরাপের উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই -
  • শরীরের শক্তি স্তর বৃদ্ধি করেঃ জোভিয়া গোল্ড সিরাপে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের শক্তি স্তর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে দুর্বল শরীরের জন্য এই সিরাপটি ভীষণই উপকারী।
  • পাচন প্রক্রিয়া ঠিক রাখেঃ নিয়মিত জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবনে এটিই আমাদের পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ জোভিয়া গোল্ড সিরাপ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং জিংক এর মত উপাদান গুলিতে পরিপূর্ণ। আর এই উপাদান গুলি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
  • দাঁত ও হাড় ভালো রাখেঃ জোভিয়া গোল্ড সিরাপে থাকা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আমাদের দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দাঁতের মাড়িও শক্ত করে।
  • হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখেঃ নিয়মিত জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবন করলে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন ই আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফলে অকালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়ঃ এই সিরাপটিতে রয়েছে ভিটামিন বি-১২ এবং অমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ঃ ত্বক ভালো রাখতে চাইলে আপনি নিয়মিত নিয়ম মেনে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবন করুন। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। এই দুটি উপাদানই আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকে নতুন কোষ তৈরি করে।
  • চুল ও নখের যত্নেঃ জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর ভিটামিন বি-৭, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই আমাদের চুল ও নখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
  • পুষ্টিহীনতা দূর করেঃ অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে কিংবা অনিয়মিত খাদ্যাভাসের ফলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। এই পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে আপনি খেতে পারেন জোভিয়া গোল্ড সিরাপ।
  • এন্টিবায়োটিক সেবনের পর ঘাটতি পূরণঃ সাধারণত এন্টিবায়োটিক সেবনের ফলে আমাদের শরীরে যে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি দেখা দেয় তা পূরণ করতে খুব ভাল কাজ করে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ।
  • শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ যেকোনো বয়সের শিশুদের শারীরিক দুর্বলতা, পুষ্টির ঘাটতি, ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ।
  • মানসিক চাপ কমায়ঃ জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে আপনি মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকেও কিছুটা পরিত্রাণ পেতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স উপাদান, যা মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ এই সিরাপটিতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে অনেকটাই।
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগের পরঃ অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী রোগের উপর কিংবা ঔষধ সেবনের পর শারীরিক যে দুর্বলতা অনুভূত হয় সেটি দূর করতে আপনি খেতে পারেন জোভিয়া গোল্ড সিরাপ।
  • পেশি গঠনে সাহায্য করেঃ যারা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন কিংবা কাজের মধ্যে থাকতে হয় তাদের জন্য এই সিরাপটি অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে শরীরের পেশী গঠনে একটি সাহায্য করে।
  • ওজন বাড়ায়ঃ আপনারা যারা স্থূলতা কমিয়ে ওজন বাড়াতে চান তারা নিশ্চিন্তে জোভিয়া গোল্ড সিরাপটি সেবন করতে পারেন। কারণ, এই সিরাপটি সেবন করলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি জমা হবে এবং ওজনও বাড়বে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে আপনি নিয়মিত জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবন করুন। নিয়মিত সেবনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষাঃ জোভিয়া গোল্ডে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলস থেকে আমাদের শরীর রক্ষা পায়।
  • বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধেঃ যেকোনো সমস্যা বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, চোখে কম দেখা, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি কমাতে এই সিরাপটি বিশেষভাবে উপকারী।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ ডায়াবেটিসের পেশেন্টরাও এই সিরাপটি সেবন করতে পারেন। কারণ, এতে ক্রোমিয়াম উপাদান রয়েছে যা রক্তে ইন্সুলিনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে।
  • হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখেঃ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও খুব ভালো কাজ করে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ। এর ইনোসিটল ও ও প্যারা এমিনো বেনজয়িক এসিড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মা বোনদের মাসিক চক্র নিয়মিত করে।
প্রিয় পাঠক, জানিয়ে দিলাম জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সাধারণভাবে নিরাপদ। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন বা দীর্ঘদিন ব্যবহারে আপনার আবার শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। তাই নিয়ম মেনে ডোজ মত ব্যবহারের চেষ্টা করুন। 

জোভিয়া কিডস সিরাপ

জোভিয়া কিডস সিরাপ আসলে কি? জোভিয়া কিডস সিরাপ মূলত শিশুদের জন্য প্রস্তুতকৃত একটি হেলথ সাপ্লিমেন্ট, যা সাধারণত ভিটামিন, মিনারেল ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে। তাছাড়া শিশুদের বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্যও এই সিরাপটি খুবই কার্যকরী একটি সিরাপ।
বিশেষ করে বাচ্চাদের খাবারের প্রতি অনীহা, শারীরিক দুর্বলতা,ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া ইত্যাদি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জোভিয়া কিডস সিরাপ বহুল ব্যবহৃত হয়। এবার চলুন শিশুদের জন্য জোভিয়া কিডস সিরাপের বেশ কিছু উপকারিতা জেনে নিই -
  • জোভিয়া কিডস সিরাপে থাকা ভিটামিন সি, জিংক ও অন্যান্য মিনারেল আপনার শিশুর শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। ফলে আপনার শিশু সহজেই ঠান্ডা জনিত যে কোন রোগ বা জ্বর,সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয় না।
  • এতে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন ও অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটার উপাদান আপনার শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ও বুদ্ধির বিকাশের জন্য হলেও এই সিরাপটি শিশুকে খাওয়ানো উচিত।
  • আপনার শিশু কি খেলাধুলা করার পর বা পড়াশোনার সময় অতি দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাহলে আপনার শিশুর জন্য আজ থেকেই বেছে নিন জোভিয়া কিডস সিরাপটি। এতে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের এনার্জি মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়।
  • আপনার শিশুর পেট ফাঁপা কিংবা হজমে সমস্যা হলে আপনি জোভিয়া কিডস সিরাপটি অনায়াসে খাওয়াতে পারেন। কারণ এর প্রাকৃতিক উপাদান যেমন প্যাপেন বা জিনজার এক্সট্র্যাক্ট হজমে সাহায্য করে। সাথে শিশুর এসিডিটির সমস্যাও দূর করে।
  • অধিকাংশ শিশুদের একটি প্রধান সমস্যা হলো খাবার খেতে না চাওয়া। আপনার শিশুও যদি খেতে না চায় বা খাবারের প্রতি অধিক অনিহা ভাব দেখায় সেক্ষেত্রে এই সিরাপটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই সিরাপ শিশুদের অ্যাপিটাইট বা রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • আপনার শিশুর হাড়, দাঁত, নখ, চোখ ও পেশির গঠনে অত্যন্ত সহায়ক একটি সাপ্লিমেন্ট হলো জোভিয়া কিডস সিরাপ। কারণ, এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি।
  • জোভিয়া কিডস সিরাপে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ও বায়োটিন রয়েছে, যা আপনার শিশুর চুলের স্বাস্থ্য ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
  • জোভিয়া কিডস সিরাপে থাকা বিশেষ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি আপনার শিশুর স্নায়ুতন্ত্র শান্ত রাখে। ফলে শিশুর মানসিক চাপ বা উত্তেজনা কম হয়।
  • এই সিরাপের নির্দিষ্ট নিউট্রিয়েন্ট শিশুদের মস্তিষ্কের নিউরনকে ফ্রেশ রাখে। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শিশুদের নতুন কিছু শেখা জানার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।
  • তাছাড়া প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আপনার শিশুর ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও কাজ করে জোভিয়া কিডস সিরাপটি।
  • আপনার শিশুর কি ঘুম কম হয় কিংবা ঘুমাতে চায় না, তাহলে আজ থেকেই চোখ বন্ধ করে আপনার শিশুকে জোভিয়া সিরাপ সেবন করাতে শুরু করুন। কারণ, এতে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬ থাকার কারণে শিশুর স্নায়ু শান্ত রাখে। ফলে শিশুর ঘুম ভালো হয়।
  • নিয়মিত সেবনে এটি আপনার শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি ঘটায়।
বিশেষ সতর্কতাঃ
জোভিয়া কিডস সিরাপ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই মনে রাখবেন যে বিষয়গুলো-
  • শিশু বিশেষজ্ঞ কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই নিজে থেকে ডোজ ঠিক করে শিশুকে সেবন করাবেন না। কারণ, আপনার শিশুর বয়স, ওজন এবং শারীরিক সমস্যা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
  • ওভার ডোজ বা অতিরিক্ত সেবনে আপনার শিশুর শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন এই সিরাপটি আপনার শিশুর জন্য ব্যবহার করবেন না।
  • যোভিয়া কিডস সিরাপ এর কোন উপাদানের প্রতি যদি আপনার শিশুর অ্যালার্জি থাকে তাহলে তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কিসের ঔষধ

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কিসের ঔষধ? জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি সত্যিই মোটা হওয়া যায় তা খানিক আগেই আজকের আলোচনায় জেনেছেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ আসলে কিসের ওষুধ। দেখুন, এটি একটি মাল্টি মিনারেল সাপ্লিমেন্ট যা অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যাল কর্তৃক প্রস্তুত করা হয়। 
 
এই সিরাপের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো শরীরের শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি ও প্রাণ শক্তি ফিরিয়ে আনা। এই সিরাপটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা দূর করতে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে এটি কার্যকর ভাবে কাজ করে।
 
আবার অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা কাজের চাপ এবং অপুষ্টিজনিত দুর্বলতা কাটাতেও গোল্ড সিরাপ দারুণ উপকারী। শিশু, বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে দুর্বল রোগীদের জন্য এই সিরাপটি বেশি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া নিয়মিত এই সিরাপ সেবনে শরীরের ক্লান্তি কমে, কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং মানসিক সতেজতা আসে। সুতরাং যেকোনো রোগ সংক্রমণ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে এবং শরীরের সুস্থতা সার্বিকভাবে নিশ্চিত করতে এটি একটি কার্যকরী সাপ্লিমেন্ট।

জোভিয়া গোল্ড এর দাম কত

জোভিয়া গোল্ড এর দাম কত জানেন কি? হয়তো জানেন না। তাহলে জেনে রাখুন, জোভিয়া গোল্ড শুধুমাত্র সিরাপ হিসেবেই নয় বরং এটি সিরাপ ও ট্যাবলেট উভয় ফর্মেই পাওয়া যায়। সিরাপ সাধারণত বাচ্চারা খেতে বেশি পছন্দ করে। আর প্রাপ্তবয়স্করা সিরাপের থেকে জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। 
জোভিয়া-গোল্ড-সিরাপ-খেলে-কি-মোটা-হয়-জানুন
আপনি যদি জোভিয়া গোল্ডের ট্যাবলেট ক্রয় করতে চান তাহলে এক স্ট্রিপ ট্যাবলেট এর দাম পড়বে ৩৩০ টাকা। কারণ, একটি স্ট্রিপে মোট ৩০ টি ট্যাবলেট থাকে। সে হিসেবে প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম পড়বে মাত্র ১১ টাকা। আর যদি সিরাপ ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে জোভিয়া গোল্ড এর সিরাপ ফর্ম ১০০ মিলি ও ২০০ মিলির বোতল পেয়ে যাবেন। যার দাম পর্যায়ক্রমে ৯০.২৭ টাকা এবং ১৮৫-১৯০ টাকা।

জোভিয়া গোল্ড মাল্টিভিটামিন

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় তা জেনেছেন কিন্তু জোভিয়া গোল্ড মাল্টিভিটামিন আসলে কি? এটি একটি পুষ্টিকর স্বাস্থ্য সম্পূরক, যা কিনা শরীরের দৈনন্দিন ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করে। এটি সাধারণত ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই,
 
জিংক ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন সহ আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে। এই মাল্টিভিটামিনটি সাধারণত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে যারা খুব ব্যস্ত জীবন যাপন করেন কিংবা সুষম খাদ্য খেতে পারেন না,
 
তাদের জন্য এই মাল্টিভিটামিনটি বেশ উপকারী। এটি শরীরের দৈনন্দিন ক্লান্তি দূর করে নতুন উদ্যম এনে দেয়। এছাড়াও চুল, ত্বক, নখ, হাড়, দাঁত ইত্যাদির সুরক্ষায় জোভিয়া গোল্ড মাল্টিভিটামিন কার্যকরী একটি সাপ্লিমেন্ট। এটি বয়স্ক এবং শিশু উভয়ের জন্য ব্যবহারযোগ্য। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এই মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করলে শরীর আরো বেশি সক্রিয় ও সুস্থ থাকে।

জোভিয়া গোল্ড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

জোভিয়া গোল্ড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। বিশেষ করে আপনি যদি ডোজ না মেনে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করেন সেক্ষেত্রে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো আপনার শরীরে পরিলক্ষিত হতে পারে। এবার চলুন অতিরিক্ত জোভিয়া গোল্ড সেবনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-
  • জোভিয়া গোল্ডে কিছু ভাসোডাইলেটর বা উত্তেজক উপাদান থাকতে পারে যা আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • এতে ক্যাফেইন বা সিমুলেন্ট জাতীয় উপাদান থাকলে আপনার হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে এটি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
  • যদিও এটি হজম সাহায্য করে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে এতে থাকা ভেষজ উপাদান আপনার স্বাভাবিক হজমতন্ত্র বাধাগ্রস্থ করতে পারে।
  • অতিরিক্ত হারবাল উপাদান হজমে গোলযোগ তৈরি করতে পারে এবং আপনার বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • জোভিয়া গোল্ড সেবনে আপনার শরীরের বিপাকক্রিয়া অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরতে পারে।
  • অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যবহারে এটি আপনার রক্তচাপ ও স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা কিংবা শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
  • দীর্ঘদিন যাবত জোভিয়া গোল্ড সেবনে এটি আপনার লিভার ড্যামেজ করে দিতে পারে।
  • জোভিয়া গোল্ড সেবন করলে একটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত টক্সিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করতে গিয়ে অনেক সময় কিডনির উপর চাপ পড়ে। ফলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • আপনি যদি আগে থেকেই কোন ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন সেক্ষেত্রে জোভিয়া গোল্ডের উপাদান অন্যান্য ঔষধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
  • আপনি যদি নিয়ম না মেনে জোভিয়া গোল্ড সেবন করেন তাহলে আপনার ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে। এতে মোটা হওয়ার সম্ভাবনাও থেকেই যায়।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো এড়াতে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ডোজ মেনে জোভিয়া গোল্ড সেবন করুন। তাতে উপকার পাবেন। তাছাড়া জোভিয়া গোল্ড খেলে মোটা হওয়া যায় কি যায় না তা আজকে আলোচনার শুরুতেই জেনেছেন।

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবনে সতর্কতা

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবনে সতর্কতা মেনে চলা জরুরী।যেমন -
  • চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুনঃ প্রথমেই বলি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই এই সিরাপ সেবন করবেন না। বিশেষ করে আপনি যদি ডায়াবেটিস কিডনি, কিংবা হাইপারটেনশনের সমস্যায় ভুগছেন বা ঔষধ খাচ্ছেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই জোভিয়া গোল্ড সেবন করবেন।
  • গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভাবস্থায়এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য এই সিরাপ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরী।
  • শিশুদের ক্ষেত্রেঃ শিশুদের ক্ষেত্রে জোভিয়া গোল্ড সেবনের পূর্বে অবশ্যই এর রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এর ডোজ সঠিকভাবে জেনে নিন। কারণ, আপনার শিশুর বয়স এবং ওজন অনুযায়ী ডোজের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
  • এলার্জিক প্রতিক্রিয়াঃ সিরাপের থাকা যেকোনো উপাদানের প্রতি আপনার শিশুর এলার্জি অনুভব হলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
  • নিয়মিত মাত্রায় গ্রহণ করুনঃ যেকোনো ঔষধ অতিরিক্ত গ্রহণ শরীরের জন্য কখনোই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না বরং শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়। তাই আপনি নিয়ম মেনে ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
  • অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুনঃ আপনি যদি অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত হন তাহলে এই সিরাপ সেবন না করাই ভালো। যেকোনো ধরনের ভিটামিন সিরাপ এলকোহলের সাথে গ্রহণ করা শরীরের জন্য কখনোই উপকারী নয়।
  • সংরক্ষণঃ সিরাপটি অবশ্যই আলো থেকে দূরে, শুষ্ক স্থানে এবং শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে সংরক্ষণ করুন।

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর ভিটামিন উপাদান

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর ভিটামিন উপাদান কি কি? এতক্ষণ আমরা জেনেছি জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে মোটা হওয়া যায় কিনা অথবা এটি মোটা হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত কিনা। এবার আমরা জানবোশিরাতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন উপাদান সম্পর্কে। তো চলুন প্রতি ৫ মিলিলিটার জোভিয়া গোল্ড সিরাপে কি কি  ভিটামিন উপাদান রয়েছে নিচে একটি ছকের মাধ্যমে দেখে নিন-
পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
ভিটামিন এ ৪২৫ IU
ভিটামিন সি ৬৭.৫০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ডি-৩ ১৩৭.৫০ IU
থায়ামিন ১ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন ১ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন ৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি-৬ ২০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি-১২ ৩ মাইক্রোগ্রাম
ফলিক এসিড ৬৭.৫০ মাইক্রোগ্রাম
বায়োটিন ৩২.৫০ মাইক্রোগ্রাম
প্যান্টওথেনিক এসিড ৩.৫০ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম ২৭.৫০ মিলিগ্রাম
আয়োডিন ২৫ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৭.৫ মিলিগ্রাম
জিংক ২.৫০ মিলিগ্রাম
সেলেনিয়াম ১৭.৫ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ ০.৭৫ মিলিগ্রাম
ক্রোমিয়াম ৩.৫ মিলিগ্রাম
প্যারা এমিনো বেনজয়িক এসিড ০.৫ মিলিগ্রাম
ইনোসিটল ১০ মিলিগ্রাম
কোলিন ৮.১১৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৯ মিলিগ্রাম

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় এ সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়, আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সাধারণত শিশুদের ক্ষুধা বাড়াতে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে ওজনও কিছুটা বাড়তে পারে।
 
তাছাড়া এতে কিছু ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যই এই সিরাপটি খাওয়ার উপযোগী। তবে সিরাপটি সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং ঔষধ সংক্রান্ত আরো আর্টিকেল পড়তে চোখ রাখুন আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url