গরমে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো জানুন

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো জানতে চান? উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সেরা সিরাম কোনটি? জানতে হলে এক্ষুনি আজকের পোস্টটি একবার পড়ে নিন। আপনাদের যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এমন একটি সিরাম বেছে নিতে পারেন যা আপনার ত্বকে সিবাম নিঃসরণের প্রবণতা কমায়।
গরমে-তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-সিরাম-ভালো-জানুন
আজকে আমরা আলোচনা করবো তৈলাক্ত এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সবচেয়ে সেরা সিরাম কোনটি সে সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করবো তৈলাক্ত ত্বকের ফেসওয়াশ নিয়ে। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো জানুন

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো জানেন! তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সঠিক সিরাম নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং ত্বকের পোর বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে গরমকালে আমাদের অনেকেরই ত্বক আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। তবে সঠিক সিরাম ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ততা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আলোচনার শুরুতেই চলুন জেনে নিই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী কিছু সিরাম এবং তাদের কার্যাবলী সম্পর্কে-

  • নিয়াসিনামাইড সিরামঃ ভিটামিন বি-৩ একটি শক্তিশালী উৎস হলো নিয়াসিনামাইড সিরাম। যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি ত্বকের পোরস ছোট করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কালো দাগ, অমসৃণতা ভাব কমায়। এছাড়াও এতে এন্টি ইনফ্লামেটরি গুন থাকার কারণে এটি আমাদের ত্বকের ব্রণের সমস্যা সাথে ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
  • স্যালিসিলিক এসিড সিরামঃ স্যালিসিলিক অ্যাসিড একটি কার্ব হাইড্রক্সি এসিড, যা আমাদের ত্বকের পোরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং ত্বকের মৃত কোষগুলো পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে। এটি ত্বকে মূলত এক্সেলফলিয়েটিং উপাদান হিসেবে কাজ করে।
  •  ফলে ত্বক শুষ্ক থাকে এবং মৃত কোষের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত হয়। এই উপাদানটি বিশেষভাবে ব্রন ও ব্লাডহেডস দূর করতে সাহায্য করে। কারণ, এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের অবরুদ্ধ পোর খুব ভালো করে পরিষ্কার করে দেয়।
  • হায়ালুরোনিক এসিডঃ যদিও হাইড্রেশন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এর প্রধান কাজ হল এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে কিন্তু অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে না। হায়ালুরোনিক এসিড ত্বকের গভীরে জল শোষণ করে এবং ত্বকের ফাইন লাইনস ও শুষ্কতা কমায়। তাছাড়া এটি ত্বকের ব্যারিয়ারের সুরক্ষা বাড়িয়ে ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। আবার নিয়মিত এই সিরামটি ব্যবহারে এটি ত্বককে ভারী না করে পর্যাপ্ত পরিমাণে আদ্রতা প্রদান করে।
  • রেটিনল সিরামঃ রেটিনল সিরাম আমাদের ত্বকের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কোষ টার্নওভার বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো অপসারণ করে এবং ত্বককে দিন দিন মসৃণ করে তোলে। রেটিনল তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে পাশাপাশি ব্রাউন ও ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা দূর করে।
  • শুধু তাই নয়, এটি ত্বকের পোরের ভেতরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে এবং পোরের আকার অনেকটা ছোট করে ফেলে। তবে এটি সূর্যের আলোতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা সতর্ক অবলম্বন করতে হবে।
  • টি ট্রি ওয়েল সিরামঃ ফ্রি ট্রি অয়েল সিরামটি ব্যবহার করলে এটি আমাদের ত্বকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন সরবরাহ করতে থাকে। যা ব্রণ এবং অন্যান্য ত্বক সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যা কমাতে সহায়ক। এটি ত্বকের সিবাম উৎপাদন কমিয়ে এনে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে।
  • জিংক সিরামঃ জিংক একটি শক্তিশালী মিনারেল যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সিরামটি ত্বকের সিবাম উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে একটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রনের জন্য উপকারী। এছাড়া এর আন্টিঅক্সিডেন্ট গুণ ত্বককে শুষ্ক রাখে এবং ত্বক অতিরিক্ত টানটান না করে হাইড্রেটেড রাখে।
  • ভিটামিন সি সিরামঃ ভিটামিন সি আমাদের ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের মলিন ভাব এবং পিগমেন্টেশন কমায়। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করলে এটি ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের সার্বিক টোন উন্নত করে। পাশাপাশি ভিটামিন সি ব্রণের দাগ কমাতে এবং ত্বকে নতুন ব্রণ উঠতে বাধা প্রদান করে। 
গরমে-তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-সিরাম-ভালো-জানুন
  • গ্লাইকোলিক এসিড সিরামঃ এটি একটি আলফা হাইড্রোক্সাই অ্যাসিড, যা আমাদের ত্বকের গঠন সার্বিকভাবে উন্নত করতে এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে। তবে এই সিরামতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে অতিরিক্ত এক্সফ্লোয়েটিং এড়িয়ে চলতে হবে।
  • অয়েল ফ্রী বা ম্যাটিফাইং সিরামঃ অয়েল ফ্রী সিরাম হিসেবে আপনি লেবেল যুক্ত সিরাপ গুলি নির্বাচন করুন। কারণ, এই সিরামটিতে সিলিকার মত কিছু উপাদান থাকে যার সারাদিন ভর ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে থাকে। ফলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল খুব সহজেই নিয়ন্ত্রিত হয়। এমনকি এই সিরাম টি ত্বকে ম্যাট ফিনিশ দিতেও বেশ কার্যকরী।
  • গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্ট সিরামঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এই দুটি উপাদান রয়েছে গ্রীন টি এক্সট্রাক্ট সিরামে। যা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেলটে ভাব নিয়ন্ত্রণ তো করেই, পাশাপাশি ত্বকের লালচে ভাব এবং যেকোনো ধরনের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
  • হালকা ওজন এবং জেলভিত্তিক সিরামঃ হালকা ওজনের এবং জেল ভিত্তিক সিরাম গুলো তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
  • এস পি এফঃ আপনার সিরামে যদি সূর্যালোকের সুরক্ষা থাকে সেক্ষেত্রে এটি আরো ভালো। কারণ এটি আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশি থেকে রক্ষা করে। উগ
  • গ্রিন টি সিরামঃ গ্রিন টি সিরাম এন্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি সম্পন্ন হওয়ার কারণে এটি ত্বক ঠান্ডা রাখে, ত্বকের ব্রণের ভাব কমায়। পাশাপাশি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে।
প্রিয় পাঠক, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সিরাম নির্বাচন করার সময় আপনার ত্বকের ধরন, সমস্যা এবং অন্যান্য উপাদান দেখে সিরাম নির্বাচন করবেন। তবে আপনার ত্বক যদি অতি সংবেদনশীল বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত প্রবন হয়, সেক্ষেত্রে সিরাম ব্যবহারের পূর্বে একজন ডার্মাটোলজিস্ট এর সাথে পরামর্শ করে ব্যবহার করলে ভালো হয়।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সেরা সিরাম

উজ্জল ত্বকের জন্য কোন সিরামটি সবচেয়ে সেরা হবে সে বিষয়েও আমাদের জেনে রাখা দরকার। তাছাড়া উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ত্বক পাওয়ার জন্য উপযুক্ত সিরামটি বাছাই করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। যা আমরা অনেকেই ভুল করে থাকি। প্রিয় পাঠক, উজ্জ্বল ত্বক পেতে আপনি যেসব সিরাম নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সিরামগুলো আপনার ত্বকে ঠিক কিভাবে কাজ করে তা জানিয়ে দিচ্ছি-

  • আলফা আরবুটিন সিরামঃ আলফা আরবুটিন সিরামটি ত্বকে যেকোনো ধরনের পিগমেন্টেশন ও দাগছোপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি আমাদের ত্বকে টাইরোসিনেজ নামক একটি এনজাইমকে ব্লক করে, যা মেলানিন তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের কালচে ভাব ও দাগ কমে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। বিশেষ করে মেছতা, সানস্পট এর মতো দাগ দূর করতে দারুন কাজ করে এই সিরামটি।
  • কোজিক অ্যাসিড সিরামঃ কোজিক এসিড সিরাম হলো প্রাকৃতিকভাবে ছত্রাক থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের স্কিন লাইটেনিং এজেন্ট। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকে মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে স্ক্রিনটোন হালকা ও উজ্জ্বল করে। বিশেষ করে পিগমেন্টেশন, ত্বকের কালো দাগ এবং সান স্পটের দাগের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর।
  • মাল্টি পেপটাইড সিরামঃ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন মাল্টি পেপটাইড সিরামটিকে। এটি আমাদের ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন তৈরিতে সাহায্য করে। এমনকি ত্বকের গঠন মজবুত করার পাশাপাশি বার্ধক্যের ছাপ কমাতেও খুব ভালো কাজ করে। নিয়মিত ব্যবহারে এতে থাকা পেপটাইড উপাদান গুলো আমাদের ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে এবং ত্বকে এনে দেয় প্রাকৃতিক গ্লো ও উজ্জ্বলতা।
  • ল্যাকটিক অ্যাসিড সিরামঃ ল্যাকটিক অ্যাসিড একটি প্রাকৃতিক আলফা হাইড্রোক্সি এসিড, যা ব্যবহারে এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে ফেলে এবং স্কিন টেক্সচার মসৃণ করে। নিয়মিত এই সিরামটি ব্যবহারে এটি ত্বককে এক্সফলিয়েট করে। ফলে ত্বকের বন্ধ পোরা খুলে যায় এবং ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এমনকি নিস্তেজ ও রুক্ষ ত্বক করে তোলে নরম, পরিষ্কার ও দীপ্তিময়।
  • স্কিনসিউটিক্যালস সিই ফেরুলিকঃ এটি একটি কাল্ট-প্রিয় সিরাম, যা ফেরুলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন ই এর সাথে ১৫ শতাংশ ভিটামিন সি যোগ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ত্বক থেকে বলিরেখা দূর করতে ভালো কাজ করে। নিয়মিত এই সিরামটি ব্যবহারে আপনার ত্বক হতে পারে আরো উজ্জ্বল এবং তারুণ্যময়।
  • আলফা এইচ ভিটামিন বি সিরামঃ এটি একটি শক্তিশালী ফর্মুলেশন। যা নিয়াসিনামাইডকে চিয়া সিড বীজের নির্যাস, কপার ট্রি পেপটাইড এবং ফেরুলিক এসিড এর সাথে যুক্ত করে। সুতরাং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এই সিরামটির জুড়ি মেলা ভার।
  • ওলে হেনরিকসেন ট্রুথ সিরামঃ ওলে হেনরিকসেন ট্রুথ সিরাম হল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সিরাম। যা ত্বকের নিস্তেজতা কমাতে কাজ করে। সিরামটিতে থাকা গ্রিন টি নির্যাস, ভিটামিন সি এবং অ্যালোভেরার সংমিশ্রণ আমাদের ত্বককে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষা দেয় এবং সেই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • আজেলাইক এসিড সিরামঃ আজেলাইক এসিড সিরাম ত্বকের কালো দাগ, ব্রণ এবং ত্বকের অস্বাভাবিক রং পরিবর্তনের জন্য কার্যকরী। নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি ত্বকে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং ত্বকের রং হালকা করে।
  • অর্গান অয়েল সিরামঃ অর্গান ওয়েল প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা আমাদের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং হাইড্রেটেড রাখে। এটি ড্রাই বা মিশ্র ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। অর্থাৎ নিয়মিত অর্গান অয়েল সিরাম ব্যবহারে আপনার ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ও কমলতা ফিরে আসবে এবং টক হয়ে উঠবে দীপ্তিময়।
  • ১০% লাইলাক ভিটামিন সি সিরামঃ এই সিরামটিতে রয়েছে হায়ালুরোনিক এসিড এবং ভিটামিন সি। যা আমাদের ত্বকে ম্যাজিকের মত কাজ করে। এতে এসকর্বিক অ্যাসিডের ascorbyl glucoside নামক একটি স্ট্যাবল ফর্ম রয়েছে। এই ফর্মটি আমাদের স্কিনে ভিটামিন সি সরবরাহ করতে থাকে। যেহেতু এটি একটি গ্লুকোজ ফর্ম এবং এর সাথে ভিটামিন সি সংযুক্ত রয়েছে, তাই এটি একেবারে আমাদের ত্বকের গভীরে যেয়ে এসকরবিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
  • বুটস গ্লো এসেন্স সিরামঃ আপনাদের যাদের বাজেট একটু বেশি তারা ব্রাইটনেসের জন্য এই সিরামটি বেছে নিতে পারেন। সিরামটিতে সোডিয়াম হায়ালুরোনেট, নিয়াসিনামাইড এবং গ্লিসারিন এর মত ইনগ্রিডিয়েন্টস রয়েছে। এটি আপনি ২৮ মিলিগ্রামের একটি বোতলে পেয়ে যাবেন এবং সাথে একটি ড্রপারও রয়েছে।
  • গ্রুমি ব্র্যান্ডের সিরাপঃ গ্রুমী ব্র্যান্ডের তিনটি আলাদা আলাদা সিরাম রয়েছে। যেমন- গ্লুটাথিয়ন সিরাম, আলফা আর বুটিন সিরাম এবং এইচ এ ব্রাইটেনিং সিরাম। এই তিনটি সিরামই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে। সিরাম তিনটি আপনি ৩০ মিলিগ্রামের বোতলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
  • মাতাল হাতি সি-ফার্মা ডে সিরামঃ এটি একটি শক্তিশালী ভিটামিন সি সিরাম। যা ভিটামিন ই এবং ফেরুলিক এসিডের সাথে এল এসকরবিক এসিড কে মিলিয়ে দেয়। ঠিক এই ফর্মুলেশনের জন্যই এটি আমাদের তরফ থেকে যেকোনো ধরনের কালো দাগ অতি সহজে দূর করতে পারে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে।
সম্মানিত পাঠক, এই সিরাম গুলো ত্বকের বিভিন্ন স্তরের কাজ করে। কোনটা এক্সফ্লোয়েটিং করে, কোনটা আবার ত্বক হাইড্রেটেড করে, আবার কোনটা ত্বকে কোষের পুনর্জন্ম ঘটায়। তবে সবকটি সিরামের উদ্দেশ্য একটাই সেটি হল ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ ও প্রাণবন্ত করে তোলা। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনি উপযুক্ত সিরামটি বেছে নিন এবং নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

ব্রনের জন্য কোন সিরাম ভালো

ব্রনের জন্য কোন সিরাম ভালো জানেন! তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরামটি ভালো হবে এতক্ষন আমরা জেনেছি। এবার আমরা জানবো ত্বকের ব্রণ দূর করতে কোন সিরামটি ভালো। আপনার ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য উপযুক্ত সিরাম বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন, ইনফ্লামেশন এবং ব্রণের সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। 
 
এই ধরনের ত্বকের জন্য সাধারণত এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, আন্টিইনফ্লামেটরি এবং ময়েশ্চারাইজিং উপাদান সমৃদ্ধ সিরাম খুব ভালো কাজ করে। সে হিসেবে আপনি স্যালিসিলিক এসিড, নিয়াসিনামাইড, টি ট্রি ওয়েল, জিঙ্ক পিসিএ এই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণ নিরাময়ে এগুলো অত্যন্ত কার্যকর। স্যালিসিলিক এসিড ব্যবহারে এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে
 
পোরগুলো গভীরভাবে পরিষ্কার করে এবং ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অপরদিকে নিয়াসিনামেইড ত্বকের লালচে ভাব ও প্রবাহ কমায় এবং ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে। আবার একটি টি ট্রি ওয়েল এটি একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক যা ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রণ দমনে কাজ করে। সাথে জিংক pca ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।
 
সাথে যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। ব্রণ দূর করতে অনেকের কাছেই এই সিরাম গুলি বেশ জনপ্রিয় এবং কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং ত্বকের ব্রণ দূর করতে আপনি এই সিরাম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, সিরামটি যেন অবশ্যই তেল ও অ্যালকোহল মুক্ত হয়। তা না হলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। 

ছেলেদের জন্য কোন সিরাম ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো জেনেছেন কিন্তু আপনি কি জানেন ছেলেদের জন্য কোন সিরাম ভালো? ত্বকের যত্ন শুধু মহিলাদের নয়, পুরুষেরও প্রয়োজন। যদিও পুরুষের থেকে মহিলারা ত্বকের যত্ন বেশি নেয়। একজন পুরুষের ত্বকের গঠন সাধারণত মহিলাদের থেকে খানিকটা আলাদা হয়। অর্থাৎ পুরুষের ত্বক মহিলাদের থেকে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি পুরু হয়।
 
অর্থাৎ ছেলেদের ত্বক সাধারণত মহিলাদের তুলনায় ঘন ও তৈলাক্ত হয়। ঠিক সে কারণেই ছেলেদের জন্য এমন একটি সিরাম দরকার যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে কিন্তু ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমতে দেবে না। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি সিরামটি ছেলেদের জন্য দারুন কার্যকর। কারণ, এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগ কমায় এবং ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। 
 
এছাড়াও রয়েছে হায়ালুরোনিক এসিড যা ত্বককে গভীরভাবে আদ্রতা দেয়। বিশেষ করে শুষ্ক বা মিশ্র ত্বকের ছেলেদের জন্য এটি উপযোগী। আবার আপনাদের যাদের ত্বকে ব্রনের সমস্যা বেশি রয়েছে তারা নায়াসিনামাইড যুক্ত সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করবে এবং লোমকূপ ছোট করবে। 
 
এছাড়াও বাজারে বা অর্ডিনারি গারনিয়ার এবং লরিয়াল মেন এক্সপার্ট এর মত বিভিন্ন ব্রান্ডের সিরাম পাওয়া যায় যা ছেলেদের ত্বকের জন্য উপকারী। তবে সিরাম বাছাই করার সময় অবশ্যই আপনি আপনার ত্বকের ধরন বুঝে নির্বাচন করবেন। সাথে নিয়মিত পরিষ্কার ত্বকে সিরাম ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও সতেজ।

মেছতার জন্য কোন সিরাম ভালো

মেছতার জন্য কোন সিরাম ভালো জানেন কি? মেছতার সমস্যায় নারী পুরুষ কম বেশি সকলেই ভুগতে থাকেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। মেছতা মূলত সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা জিনগত কারণে হয়ে থাকে। মেছতার চিকিৎসায় উপযুক্ত সিরাম ব্যবহার করলে মেছতার দাগ অনেকটাই কমে যায়।
 
মেছতা দূর করার জন্য আপনি বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অনেক ধরনের সিরাম পেয়ে যাবেন। তন্মধ্যে ভিটামিন সি, নায়াসিনামাইড, কোজিক অ্যাসিড, দা অর্ডিনারি আলফা আরবুটিন ২%, হাইড্রোকুইনন, বেনজয়েল পারঅক্সাইড, এজিলেক এসিড, গ্লাইকোলিক এসিড এবং ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড এই সিরাম গুলো মেছতা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। 
 
এসব উপাদান ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত মেলানিন হ্রাস করে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। তবে একটি কথা সিরাম ব্যবহারের পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। কারণ, সূর্যের আলো মেছতাকে আরো তীব্র করে তোলে। আর হ্যাঁ, এই সিরাম গুলো ব্যবহারের পূর্বে আপনি অবশ্যই  একজন ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।
 
কারণ, একেকজনের ত্বকের সমস্যা একেক রকম হয়। আবার কারো কারো ত্বকে সিরাম ব্যবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। মেছতা দূর করতে আপনি কোন সিরামকে ব্যবহার করবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া মেছতার পাশাপাশি আপনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরামটি সবচেয়ে ভালো হবে তাই ইতিমধ্যেই আজকের আলোচনায় জেনেছেন।

তৈলাক্ত ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য সেরা ময়েশ্চারাইজার

তৈলাক্ত ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য সেরা ময়েশ্চারাইজার খুঁজছেন? বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সাবধান! কারণ, ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ব্রণ এবং তৈলাক্ততা আরো বেড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকের জন্য সঠিক ময়শ্চারাইজার বাছাই করাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এবার চলুন জেনে নিই ত্বকের জন্য আপনি কোন মশ্চারাইজ ব্যবহার করতে পারবেন-
  • Neutrogena Hydro boost Water Gelঃ এই ময়েশ্চারাইজার টি হালকা ও ওয়াটার বেইজড ফর্মুলায় তৈরি, যা আপনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একেবারে আদর্শ। এতে রয়েছে হায়ালুরোনিক এসিড যা ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ত্বকে খুব দ্রুত শোষিত হয়ে যায় এবং ত্বকে একদমই চিটচিটে ভাব হয় না।
  • ceraVe AM Facial Moisturizing Lotion with SPF 30ঃ এই লোশনটি আপনার ত্বককে সূর্য থেকে সরাসরি সুরক্ষা দিতে পারে। পাশাপাশি ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে। এতে নিয়াসিনামাইড এবং হায়ালুরোনিক এসিড রয়েছে, যা ত্বকে ব্রণের দাগ কমাতে এবং তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • La Roche-Posay Effaclar Matঃ এটিও একটি অয়েল ফ্রি ম্যাটিফাইং ময়েশ্চারাইজার। যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে এবং ত্বককে ম্যাট ফিনিশড দেয়। এতে sebulyse একটি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের তেল উৎপাদন কমায় এবং পোর্স গুলোকে ছোট করে ফেলে।
  • COSRX Oil free-ultra-moisturizing lotionঃ কোরিয়ান এই লোশনটি ৭০% বার্চ স্যাপ দিয়ে তৈরি যা ত্বক হাইড্রেটেড রাখে, কিন্তু ত্বকে একেবারেই তেল উৎপাদন করে না। এতে থাকা বার্চ স্যাপ ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ এর ব্যালেন্স ঠিকঠাক রাখে এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকে জ্বালাভাব ও লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • The Ordinary Natural Moisturizing Factors HAঃ এই প্রোডাক্টটি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক হিউম্যাকট্যান্ট যেমন- অ্যামাইনো এসিড, গ্লিসারিন এবং হায়ালুরোনিক এসিড সমৃদ্ধ যা ত্বকের হাইট্রেশন ধরে রাখে। ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয় না।
  • Clean and cleaner skin balancing oil free moisturizerঃ এই ক্রিমটিতে রয়েছে সেলিসাইলিক এসিড। আপনাদের ত্বকে যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, ব্রণ দূর করতে এটি খুব ভালো কাজ করে। তবে এতে সানস্ক্রিন নেই বললেই চলে। তাই এই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে আপনাকে আলাদাভাবে সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে হবে। এই ময়েশ্চারাইজারটি আপনি বড় কসমেটিকসের শপগুলোতে পেতে পারেন মাত্র ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে।
  • The body shop tea tree skin clearing lotionঃ এই ময়েশ্চারাইজারটি তারাই ব্যবহার করবেন যাদের ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা রয়েছে। নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি ত্বকের তেলটে ভাব কমায়। ফলে ব্রণের প্রবণতা কমে। আপনি দিন অথবা রাত যেকোনো সময় একে ব্যবহার করতে পারেন। স্যাফায়ারে এটি ১১৪০ টাকায় আপনি অ্যাভেলেবেল পেয়ে যাবেন।
  • The body shop see with metifying day creamঃ দিনের অধিকাংশ সময় যদি আপনার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে থাকে এক্ষেত্রে আপনি চোখ বন্ধ করে এই ময়শ্চারাইজারটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক প্রায় ৫-৭ ঘন্টার মত তৈলাক্ত থাকবে না। এই ময়েশ্চারাইজারটির দাম পড়বে মাত্র ১৫০০ টাকার মতো।
  • Lotus herbal white glow micro imalotionঃ আপ যারা মুখে ভারী সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভয় পান, কিন্তু রোদে যেতেই হয় তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রোডাক্টটি অন্যান্য প্রডাক্টের থেকে খুব একটা লাইট নয়। বরং এটি একটু হেভি প্রোডাক্ট। তবে স্কিনে ব্যবহার করলে এটি স্কিনের সাথে খুব সুন্দর ভাবে ম্যাট হয়ে মিশে যায়। এই প্রোডাক্টের পড়তে পারে ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে।
  • Skin clinic helixolঃ এই প্রোডাক্টটি ত্বক থেকে ব্রণ এবং ব্রনের দাগ সারাতে খুব ভালো কাজ করে। এতে থাকা হ্যালিক্স ও অ্যালোভেরার সংমিশ্রণ ত্বক যেমন ব্রণ মুক্ত করে তেমনি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে খুব সহজেই।
  • Loreal dharmasoft cleansing facial jailঃ স্কিন পরিষ্কার রাখতে একটি ক্লিনজারের দরকার এটি আমাদের সকলেরই জানা। আপনার অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক এবং ত্বকে ব্রনের সমস্যা থাকলে আপনি এই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের ব্রণ ও তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এটি দারুন কাজ করে। বিশেষ করে এই প্রোডাক্টটিতে থাকা শসা এবং গ্রিন টির নির্যাস ত্বককে আরো সজীব ও প্রাণবন্ত করে তোলে।
প্রিয় পাঠক, উপরিউক্ত এই ময়েশ্চারাইজার গুলো আপনার জন্য নিরাপদ হবে। কারণ, এগুলো হালকা, নন কমেডোজেনিক হওয়ার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক আদ্র ভাব বজায় রাখে। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কোন সিরামটি সবচেয়ে ভালো তা আলোচনার শুরুতেই আমরা আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি।

অয়েলি স্কিনের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো জেনেছেন, অনেকে আবার অয়েলি স্কিনের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো জানতে চান। অয়েলি ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরী। কারণ, অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস সহ নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঠিক সে কারণেই নারী পুরুষ সকলের একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। যাতে ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ থাকে। এবার চলুন আপনার অয়েলি স্কিনের জন্য কোন ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন-
  • হিমালয়া পিউরিফাইং নিম ফেসওয়াশঃ হিমালয়ার এই ফেসওয়াশ নিয়ে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন নিম ও হলুদ দিয়ে তৈরি। যা ব্যবহারে ত্বকে এন্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব ফেলে। এটি ত্বকের গভীর থেকে ময়লা ও তেল দূর করে এবং ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থাকে ফ্রেশ ও পরিষ্কার। আপনি চাইলে এই ফেসওয়াশটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিউট্রোজেনা অয়েল ফ্রি আকনে ওয়াশঃ এই ফেসওয়াশ টি স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত হওয়ার কারণে এটি ত্বকের ব্রণ দূর করতে বেশ কার্যকার ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে অতিরিক্ত তেল এবং মৃত কোষ দূর করে। ফলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ও ব্রণ প্রবন ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াশটি তৈরি এবং নিয়মিত ব্যবহারে স্কিন অনেক মসৃণ থাকে।
  • ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ফোমিং ফেসওয়াসঃ এই ফেসওয়াশে থাকা ট্রাইক্লোসান উপাদানটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের কার্যকর যা ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণেও দারুন কাজ করে। হালকা ফোমিং হওয়ায় এটি ত্বকে কোমল অনুভূতি দেয় এবং রেগুলার ব্যবহারে স্কিন অনেক বেশি তেল মুক্ত থাকে।
  • গার্নিয়ার মেন অয়েল ক্লিয়ার আইসি ফেসওয়াশঃ পুরুষের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াশটি বিশেষভাবে উপযোগী। কারণ, এতে ম্যানথল ও আরজিনাইন উপাদান রয়েছে। জাতক ঠাণ্ডা রাখে এবং ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করে। বিশেষ করে যারা রোদে ঘরের বাইরে কাজ করেন বা ঘাম বেশি হয় তাদের জন্য এটি উপযুক্ত একটি ফেসওয়াশ।
  • নিউট্রোজেনা ক্লিয়ার এন্ড সুদ মুজ ক্লিনারঃ ত্বকের যত্নে হলুদের উপকারিতা আমাদের সকলেরই জানা। আর এই ফেসওয়াসটিতে আপনি পাবেন হলুদের সকল গুনাগুন। ফলে নিয়মিত ব্যবহারে এটি আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব, ব্রণের দাগ, বলিরেখা, ত্বকের কালচে দাগ ইত্যাদি দূর করে। বিশেষ করে হলুদে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টিসেপটিক গুণ আপনার ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধে কাজ করে।
  • কোজারেক্স স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ডেইলি জেন্টাল ক্লিনজারঃ গরমকালে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে আপনি এই ফেসওয়াশটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকা স্যালিসাইলিক এসিড ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ত্বকে একটা গ্লোয়িং ভাব নিয়ে আসে। আপনাদের যাদের স্কিন খুব সেনসিটিভ তারাও এই ফেসওয়াশ দিয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
  • দা বডি শপ টি ট্রি স্কিন ক্লিয়ারিং ফেসিয়াল ওয়াশঃ বর্তমান সময়ে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াশ দিয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়। শুধু তৈলাক্ত নয়,  তৈলাক্ত ছাড়াও আপনাদের যাদের কম্বিনেশন স্কিন তারাও এটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসওয়াশটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি ত্বক অতিরিক্ত ড্রাই করে না, ব্রণের সমস্যা দূর করে এবং ভেতর থেকে ত্বক পরিষ্কার রাখে।
  • মামাআর্থ টি ট্রি ফেসওয়াশঃ মামা আর তো এই ফেসওয়াশ টি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি যার মধ্যে অন্যতম হল টি ট্রি অয়েল ও নিয়াম। এই দুটি উপাদানে ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ ও প্রাণ প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে কার্যকর। সবচেয়ে বড় কথা হলো এটি ত্বকে কোন ধরনের রাসায়নিক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না এবং সেনসিটিভ স্কিনের জন্যও উপযোগী।
  • Bioderma Sebum Gel Moussant Purifying Cleansing Foaming Gelঃ ত্বকের শিবাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি এই ফেসওয়াস টি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতেই পারেন। কারণ, এটি স্কিনে জমে থাকা নোংরা, তেলটে ভাব এবং মেকআপ পার্টিকেলস দূর করে। এতে রয়েছে কপার সালফেট এবং জিংক, যা ত্বকের ইনফ্লামেশন কমাতে কাজ করে।
গরমে-তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-সিরাম-ভালো-জানুন
  • Guerniss Acne Facial Washঃ গরমে তৈলাক্ত ত্বক মানেই ত্বক তেলটে টিকিটে হওয়া। এর কারণ কি জানেন? আমাদের তো এমনিতেই প্রাকৃতিক তেল থাকে। যা বারবার ওয়াশ করলে রিমুভ হয়ে যায়। কিন্তু পরক্ষণেই আবারও স্কিনের ভেতর থেকে তেল উৎপাদন শুরু হয়ে যায়। এ কারণেই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব একেবারেই কমানো সম্ভব হয়না।
  • তা বলে তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বারবার ফেসওয়াশ করতে হবে বিষয়টা এমন না। বরং এর জন্য আপনাকে এমন একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে যা আপনার স্কিনের ভেতর থেকে তেল দূর করবে এবং স্কিন পরিষ্কার রাখবে। ঠিক এমন একটি ফেসওয়াশ হল Guerniss Acne Facial Wash. এই ফেসওয়াশটি স্যালিসাইলিক হওয়ার কারণে এটি ত্বককে একেবারে গভীর থেকে পরিষ্কার করে।
  • Gfors Salicylic Acid Deep Cleansing Foamঃ যেকোনো তৈলাক্ত এবং গ্রহণ ত্বকের জন্য প্রথমে আমাদের মাথায় আসে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে এলোভেরা যা কিনা একোনে কোজিং ব্যাকটেরিয়াকে খুব সহজে দমন করতে পারে। এই ফেসওয়াস এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো লরিক এসিড। কারণ, লরিক এসিডে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ থাকে।
  • ত্বকের একোনে অপসারণে এই উপাদানটি খুবই জরুরী। আবার propionibacterium acnes নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া কেবলমাত্র আমাদের ত্বকই পাওয়া যায়। এগুলো বাড়লে ত্বকে স্বাভাবিকভাবে একোনেও বৃদ্ধি পায়। ঠিক সে কারণেই এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করলে এতে থাকা লরিক এসিড আপনার ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতা কমাবে। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই ফেসওয়াস টি কেন আপনার ত্বকের জন্য উপকারী।
  • Neutrogena Oil Free Acne washঃ আপনি কি আপনার ত্বকে সিবাম কন্ট্রোলের পাশাপাশি ত্বকের একোনে দূর করবে এমন ফেসওয়াশ খোঁজ করছেন? তাহলে বলব Neutrogena oil free acne wash এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করুন। কারণ এতে থাকা অয়েল ফ্রি ফর্মুলেশন শুধুমাত্র ত্বক ডিপলি পরিষ্কার করে তা নয় বরং এর স্যালিসাইলিক এসিড আপনার ত্বককে ব্রেক আউট হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি ডার্মাটোলজিস্ট কর্তৃক টেস্ট কৃত একটি ফেসওয়াশ। যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক, এই ফেসওয়াসগুলো ছাড়াও আপনি আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী পিএইচ ব্যালেন্স ও অয়েল কন্ট্রোল ফর্মুলা বিশিষ্ট ফেসওয়াশও বেছে নিতে পারেন। 

কোন ত্বকের জন্য কোন সিরাম

কোন ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো আমরা অনেকেই জানিনা। অথচ প্রত্যেকের ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক সিরাম বেছে নেওয়া খুবই জরুরী। অন্যথায় আপনার ত্বকের জটিলতা আরো বেড়ে যেতে পারে। ঠিক এ কারণেই আপনাকে জানতে হবে কোন ত্বকের জন্য কোন সিরামটি ব্যবহার করা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নিই -
  • নরমাল স্কিনঃ নরমাল স্কিন বলতে স্বাভাবিক স্কীনকে বোঝানো হয়ে থাকে অর্থাৎ খুব বেশি তৈলাক্ত না আবার খুব বেশি শুষ্ক না। নরমাল স্কিন সাধারণত সারা বছরজুড়েই মসৃণ থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাব বজায় থাকে। কিন্তু যত্নের অভাবে অনেক সময় আপনার নরমাল স্কিনও রুক্ষ শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
  • মনে রাখবেন, যেসব সিরাম সব ধরনের স্কিনের জন্য প্রযোজ্য ঠিক সেই সিরামটি নরমাল স্কিনের জন্যও প্রযোজ্য। তবে নরমাল স্কিনের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি এবং রেটিনল সম্পন্ন সিরাম ব্যবহার করায় ভালো। কারণ, এই দুটি উপাদানই ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমায় এবং স্কিনের সজীবতা বজায় রাখে।
  • শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ ড্রাই স্কিন বলতে সাধারণত বুঝাই রুক্ষ শুষ্ক এবং খসখসে ত্বককে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয় তাদের খুব অল্প বয়সে ত্বকে বয়সের ছাপ চলে আসে। তাছাড়া অতিরিক্ত ট্রাই থাকার কারণে স্কিনের জ্বালাপোড়া ভাব এবং চুলকানিও অনেক সময় বেড়ে যায়। আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে হায়ালুরোনিক এসিড এবং কোলাজেন যুক্ত শীরাম ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, এটি ত্বক হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বক থেকে সব ধরনের রিঙ্কেলস দূর করে।
  • ব্রণ প্রবণ স্কিনঃ আমাদের ত্বকে অনেক সময় পোরস গুলো হয়ে যায়। ফলে স্ক্রিনে ব্রেক আউট হয় এবং ত্বকে ব্রণ, হোয়াইট হেডস এবং ব্ল্যাকহেডস এর মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে প্রথমেই আপনাকে ত্বকের পোরস বন্ধ করার সিরাম ব্যবহার করতে হবে। কারণ, পোর্স বন্ধ হলে স্বাভাবিকভাবে ত্বকে ব্রনের প্রবণতা কমবে। এক্ষেত্রে আপনি সালিসালিক এসিড সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
  • কম্বিনেশন স্কিনঃ কম্বিনেশন স্কিম বলতে মূলত বুঝানো হয়ে থাকে ড্রাই এবং অয়েলি এ দুটোর সংমিশ্রণ। অর্থাৎ আপনার থুতনি নাক, কপাল যদি খুব সহজে তৈলাক্ত হয়ে যায় কিন্তু গাল শুষ্ক থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে এটি আপনার কম্বিনেশন স্কিন। আর কম্বিনেশন দিনে যেহেতু ড্রাই এবং অয়েলি দুটো ভাব থাকে,
  • তাই আপনাকে এমন একটি সিরাম ব্যবহার করতে হবে যার সমানভাবে আপনার স্কিনকে হেলদি রাখবে। এমন স্কিনের জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন নিয়াসিনামাইড এবং গ্রিন টি। কারণ এই দুটি উপাদান ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত করে না আবার শুষ্ক করেও তোলে না। বরং ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখে।
  • অল স্কিন টাইপঃ যে স্কিনে প্রায় সব ধরনের কিছু না কিছু সমস্যা দেখা যায় সেটিকে অল স্কিন টাইপ বলা হয়। যেমন ধরুন- ত্বকের কালো দাগ, ব্রনের দাগ, ত্বকে অতিরিক্ত তিল ইত্যাদি। যদিও স্কিনের এই সমস্যাগুলো একেবারেই দূর করা সম্ভব নয় কিন্তু কমিয়ে আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার যদি অল স্কিন টাইপ হয়ে থাকে তাহলে আপনি আরবুটিন, ভিটামিন সি, নিয়াসিনামাইড ব্যবহার করতে পারেন।
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ আপনাদের যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা বেছে নিতে পারেন সালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে এমন সিরাম। কারণ এই সিরাম ব্যবহারে আপনার ত্বকে সিবাম নিঃসরণ এর হার কমবে। এটি ত্বকের পোর্সে জমে থাকা ময়না খুব সহজে অপসারণ করতে পারে। ফলে ত্বকও উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও আপনি গ্লাইকোলিক এসিড,সাইট্রিক এসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক এসিড, ম্যান্ডেলিক এসিড থাকা সিরাম গুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো মেয়েদের

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঠিক কোন সিরামটি ভালো তা জেনেছেন, কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো মেয়েদের জানেন! তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মেয়েদের উপযুক্ত একটি ভালো ফেসওয়াশ হতে হবে এমন, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করবে কিন্তু ত্বককে শুষ্ক করবে না। এই ধরনের ফেসওয়াশ সাধারণত
 
জেল বেসড হয় এবং এতে স্যালিসাইনিক এসিড, টি ট্রি অয়েল বা নিয়াসিনামাইড এর মত উপাদান থাকে। যা ব্রণ প্রতিরোধে কাজ করে এবং ত্বক সতেজ রাখে। সে হিসেবে আপনি Himalaya purifying neem face wash, clean and clear forming face wash, Neutrogena oil free acne wash ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি খুবই কার্যকরী এবং বেশ সহজলভ্য ফেসওয়াশ।
 
এই ফেসওয়াশগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। ব্যবহারে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর হবে এবং থাকবে মুসলিম পরিষ্কার। তবে যেকোনো ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পূর্বে প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভালো। যেন আপনার ত্বকে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না হয়।

পরিশেষে - তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো

অয়েলি ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভালো আমরা এতক্ষণ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যা পড়ে আপনি হয়তো উপকৃত হয়েছেন। উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত ও ও দীপ্তিময় ত্বকের জন্য সিরাম দারুন কার্যকরী একটি উপাদান। কিন্তু সিরাম ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে কোন সিরামটি আপনার ত্বকের জন্য ব্যবহারের উপযোগী এবং এর কাজ সম্পর্কে। 
 
অর্থাৎ আপনার ত্বকের জন্য অয়েল ফ্রি এবং নন কমেডোজেনিক সিরাম বেছে নিন। যা আপনার ত্বককে অতিরিক্ত ড্রাই করবে না কিন্তু হাইড্রেটেড রাখবে। মনে রাখবেন, ত্বকের জন্য সঠিক সিরাম নির্বাচন না করলে তাতে উপকারের পরিবর্তে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট মাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url