ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে। ভাবছেন কিভাবে সম্ভব? মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় কি জানতে চান? তাহলে এক্ষুনি আজকের পোস্টটি চটজলদি একবার মনোযোগ সহযোগে পড়ে নিন।
ঘরে-বসে-আয়-করুন-১৫০০০-২০০০০-টাকা-প্রতি-মাসে
বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমেই বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। শুধুমাত্র সঠিক গাইডলাইন এবং একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলেই প্রতি মাসে আয় শুধু ১৫০০০ ২০০০০ টাকা নয় বরং মাসে লক্ষ টাকা আয় করার উপায়ও রয়েছে। যা আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে 

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে। কথাটা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন তাইতো! কিন্তু অবাক হলেও সত্যি। কারণ, বর্তমানে প্রযুক্তির বদৌলতে টাকা ইনকাম করা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে আগের থেকে। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন এবং আপনার দক্ষতা। বর্তমানে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অনলাইন টিউশনি, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ করেই মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ধরুন আপনি খুব ভালো লিখালিখি করতে পারেন। তাহলে আপনি ফাইবার, আপ ওয়ার্ক কিংবা ফ্রিল্যান্সার এর মত মার্কেটপ্লেসে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ পেতে পারেন। যেখানে প্রতিটি প্রজেক্টে ৫০০-১০০০ টাকা পাওয়া যায়। সুতরাং প্রতিদিন ২-৩টি কাজ নিলে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম হতে পারে।
 
আবার যদি ইংরেজিতে খুব ভালো হন তাহলে অনলাইনে ইংরেজি টিউশনি করেও আয় করতে পারেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে সোশ্যাল বিভিন্ন প্লাটফর্ম বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে আপনার নিজস্ব একটি চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন চালু করেও ইনকাম করতে পারবেন।
 
আবার ফেসবুক পেজ ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং বা খুব ভালো এসিও (SEO) শিখে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি হাতের বিভিন্ন কাজ যেমন- হস্তশিল্প, বুটিক জমা, হোম ডেকর ইত্যাদি কাজ খুব ভালো পারেন তাহলে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে পণ্য বিক্রি করেও খুব ভালো ইনকাম করতে পারবেন। তবে টাকা ইনকামের জন্য আপনি যে কাজটিই বেছে নেন না কেন সকল ক্ষেত্রেই প্রয়োজন ধৈর্য, নিয়মানুবর্তিতা এবং সততা।

মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় 

মাসে লাখ টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো। আপনারা যারা বেকার রয়েছেন আশা করব আজকের দেখানো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। বর্তমান ডিজিটাল যুগে আয় করা যে খুব কঠিন তা কিন্তু নয়। কারণ, ইন্টারনেটের যুগে আপনার হাতের মুঠোর মধ্যেই রয়েছে গোটা বিশ্ব এবং রোজগারের পথ। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে টাকা ইনকামের উপায় গুলো জেনে নিই -
  • ফ্রিল্যান্সিংঃ ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি শোনেন নি এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। বর্তমানে ছোট বড় কমবেশি সকলেই ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে পরিচিত। অনেকে আবার ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকামও করছেন সফলভাবে। কারণ, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। বিশেষ করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং এই কাজগুলো করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 
  • আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে ৫০-১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা যতটা সহজ ঠিক ততটাই কঠিন। কারণ, এই সেক্টরে কাজ করতে যথেষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন। তবে অনলাইন জগতে ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন বিজনেস ছাড়া অন্য কোন উপায়ে আপনি লাখ টাকা কখনো ইনকাম করতে পারবেন না।
  • ওয়েবসাইট তৈরি করেঃ আপনি ঘরে বসে যদি আনলিমিটেড ইনকাম করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন শিখে ফেলুন। কারণ, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে প্রতিদিন কনটেন্ট লিখেও আপনি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র কনটেন্ট লিখে নয় বরং এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও টাকা ইনকাম করা যায়। আবার আপনি যদি খুব ভালো ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন। 
  • অনলাইনে ব্যবসা করেঃআপনার যদি অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকে তাহলে অনলাইনে আপনি নিজেই একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিকেরও বেশি ইনকাম হবে। অনলাইন ব্যবসার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে পারেন। যেমন ধরুন- বিভিন্ন ধরনের পোশাক, কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, 
  • মোবাইল এক্সেসরিজ ইত্যাদি। তবে বাজারে যে প্রোডাক্টটির চাহিদা সবথেকে বেশি সেই প্রোডাক্টটি নিয়ে আপনি আপনার অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনেকেই লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। যার উদাহরণ হল দারাজ ই কমার্স প্রতিষ্ঠান। 
  • স্টক মার্কেট ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং এর মাধ্যমেও লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে ট্রেডিং করার জন্য বেশ কিছু কৌশল জানতে হয়। যা অনেকেই পারে না। বিশেষ করে ট্রেডিং কয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা, ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি, বর্তমান মার্কেটের অবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব ভালো করে জেনে বুঝে তবেই ট্রেডিং করা উচিত।
  • তা নাহলে কখনোই আয় করতে পারবেন না। ট্রেডিং এর জন্য Binance, Tradingview এবং Coinbase এই প্লাটফর্ম গুলি বেশ জনপ্রিয়।
ঘরে-বসে-আয়-করুন-১৫০০০-২০০০০-টাকা-প্রতি-মাসে
  • অনলাইন কোচিং বা টিচিংঃ covid-১৯ বা করোনা কালীন সময়ের পর থেকে অনলাইনে শিক্ষকতা করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ক্লাসের স্টুডেন্টের টিউশনি করিয়ে কিংবা কোচিং পরিচালনা করে খুব সহজেই মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
  • সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডেভলপারঃ আপনি যদি সফটওয়্যারটা অ্যাপ ডেভেলপার বিষয়ে পারদর্শী হন তাহলে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা কোন ব্যাপারই না। কারণ, একজন অ্যাপ ডেভেলপার বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করে সেখান থেকে আয় করতে পারে। অ্যাপ ডেভলপারের কাজ মূলত মোবাইলের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করা।
  • অন্যদিকে একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার কম্পিউটার সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের জন্য প্রোগ্রামিং করে সফটওয়্যার তৈরি করে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একজন সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপ ডেভেলপারের মাসিক বেতন প্রায় দুই লক্ষ টাকা হয়। 
  • ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসাঃ ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা করেও লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমান বাজারে ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন আইটেমেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ, প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত বড় বড় বিল্ডিং, প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে যেগুলিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলেকট্রনিক্স আইটেম। আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা করে সফল হতে পারেন।
  • আইটি ম্যানেজার হিসেবেঃ আপনি বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে আইটি ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেও মাসে লাখ টাকা কামাতে পারেন। প্রত্যেকটি আইটি প্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্ট এর জন্য একজন আইটি ম্যানেজমেন্টের দরকার পড়ে। সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে কম্পিউটার সাইন সাবজেক্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি কমপ্লিট করতে হবে।
  • সাথে প্রযুক্তিগত যোগ্যতাও থাকতে হবে। আবার আপনার যদি দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই একটি আইটি সেন্টার খুলে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আইটি ম্যানেজার হিসেবে চাকুরী করতে পারেন।
  • অনলাইন কোচিং ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে কোচিং সেন্টার খুলে সেখান থেকে অনেকে লাখ টাকা ইনকাম করছেন। কোচিং সেন্টারটি পড়াশোনা কিংবা ফ্রিল্যান্সিং যে কোন বিষয় হতে পারে। জনসমাগম রয়েছে এমন একটি জায়গায় কোচিং এর জন্য আপনি একটি রুম ভাড়া নিবেন এবং সেখানে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের নিয়োগ দেবেন। আর অবশ্যই যে কাজটি করবেন, আপনার কোচিং এর প্রচার এবং প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে নেবেন।
  • এতে করে আপনার কোচিং সেন্টার সম্পর্কে দেশের বিভিন্ন স্থানের স্টুডেন্টরা জানতে পারবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেন স্টুডেন্টরা আপনার কোচিং এ ভর্তি হতে পারে সেজন্য অনলাইনে একটি মাধ্যম তৈরি করবেন। প্রয়োজনে একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেও আপনার কোচিং এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। 
  • কনস্ট্রাকশন বিজনেসঃ সঠিক গাইডলাইন এবং কৌশল অবলম্বন করে যদি কনস্ট্রাকশন ব্যবসা করতে পারেন তাহলেও মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসার জন্য প্রথমে টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। 
  • আইটি প্রতিষ্ঠানঃ আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক একটি আইটি প্রতিষ্ঠান খুলেও লাখ টাকা আয় করতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে বেশি গুরুত্ব দিবেন। যাতে করে মানুষ প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখান থেকে খুব দ্রুত উপার্জন করতে সক্ষম হয়। এতে করে আপনার আইটি সেন্টারের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়িতে তেমনি আপনার প্রতিষ্ঠানের ইনকামও বাড়তে থাকবে।
  • বিপণন ব্যবসাঃ বিপণন ব্যবসার অংশ হিসেবে আপনি বিভিন্ন পণ্য কম দামে কিনে এনে সেটি পাইকারি দামে বিক্রয় করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি যেন ভালো হয়। কেননা প্রোডাক্ট ভালো না হলে বিপণন ব্যবসা করে খুব বেশি লাভবান হতে পারবেন না।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ বর্তমানে যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন প্রতি মাসে ১-২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় তাদের পদ অনুযায়ী। তাই বলবো খুব ভালো করে পড়াশোনা করে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে আপনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হয়ে লাখ ইনকাম করতে পারেন।
  • ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারঃ বর্তমানে একজন ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারের ডিমান্ড অনেক। আপনি যদি ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
  • ডাক্তারি পেশাঃ ডাক্তারি পেশায় অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা খুব সহজ। আপনার যদি ডাক্তারি করার মত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করে ফেলতে পারেন। আবার অনেক ডাক্তার রয়েছে যারা প্রতিদিন লক্ষ টাকা ইনকাম করে। তবে এইসব ডাক্তার অনেক হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন। 
  • রিয়েল এস্টেট এজেন্ট বা ব্রোকারঃ আপনি যদি জমি-জমা সংক্রান্ত ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যে থাকেন তাহলে প্রতিটি ডিলে কমিশনের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ, এইসব সেল থেকে হাজার হাজার টাকা কমিশন আসে।
  • কনসালটেন্সি সার্ভিসঃ এটি অনেকটা অনলাইন শিক্ষকতার মতই। আপনার যদি বিশেষ কোনো বিষয় দক্ষতা থাকে বিশেষ করে বিজনেস, ফাইনান্স, মেডিকেল, আইটি কিংবা আইন বিষয়ে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ক্লাইন্টদের পরামর্শ দিয়ে বা কনসালটেন্সি করে আয় করতে পারেন। এখানে প্রতি ক্লায়েন্ট থেকে কমপক্ষে ৮-১০ হাজার টাকা ইনকাম সম্ভব।

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন, যা অসম্ভব কিছু না। বর্তমান সময়ে আপনি আর্টিকেল লিখে, ফ্রিল্যান্সিং করে, ইউটিউবিং করে, অনলাইন বিজনেস করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, অনলাইনে শিক্ষকতা করে ইত্যাদি কাজগুলো করে শুধু ৪০০০ কেন,
 
প্রতিমাসে ঘরে বসে ১৫০০০ ২০০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যা আমরা ইতিমধ্যেই উপরে আলোচনা করেছি। এই কাজগুলো ছাড়া আরো কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। চলুন এবার সেগুলো জেনে নিই -

  • অনলাইন কোর্স বিক্রি করেঃ অনলাইনে শুধু শিক্ষকতা কিংবা কোচিং ব্যবসা করে নয় বরং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বিক্রি করেও প্রত্যেক সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে এভাবে অনেকেই কোর্স বানিয়ে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করছে। 
  • অনলাইন সার্ভে করে ইনকামঃ অনলাইনে এখন অনেক সাইট এবং অ্যাপ রয়েছে। যেগুলিতে আপনি সার্ভে করেও প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। অর্থাৎ এই সাইটগুলোতে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এর জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
  • সার্ভে করে টাকা ইনকাম করার মত বেশ কিছু সাইট রয়েছে। যেমন- SurveyMonkey, Freecash, Inboxdollars, Surveyplanet এবং SurveyBot। এই সাইটগুলোতে কাজ করে কোন বিড়ম্বনা ছাড়াই খুব সহজেই পেমেন্ট পাওয়া যায়।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমেঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আই এখন সর্বক্ষেত্রে তুমুল জনপ্রিয়। এই আয়ের মাধ্যমে এখন মানুষ নিজে কাজ না করে রোবটের মাধ্যমে করিয়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপেও এআই যুক্ত হয়েছে। এ সমস্ত সাইটে আপনি এ আই এর মাধ্যমে কনটেন্ট লিখে নিয়েও ইনকাম করতে পারেন। শুধু কনটেন্ট নয় বরং এ আই দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ করে ওয়েবসাইট তৈরি করে ই-কমার্স এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখে এবং ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব কিছু ক্রিয়েটিভি থাকতে হবে।
  • প্রোডাক্ট টেস্টিং জবসঃ অনেক মারপিট রিসার্চ কোম্পানি রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে। আর এসব পণ্য বাজারে লঞ্চ করার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। ঠিক এই সময় একজন প্রোডাক্ট টেস্টারের এর গুরুত্ব অনেক। যেকোনো শিক্ষার্থী এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য পেশাটি প্রতিমাসে চার হাজার টাকা উপার্জনের একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করেঃ সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ জানাশোনা থাকলে আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হিসেবে কাজ করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন। কারণ, দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম পরিচালনার জন্য দক্ষ মানুষ খুঁজে। এভাবেও ইনকাম করা সম্ভব। 
  • SEO এক্সপার্ট হিসেবেঃ একটি ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাটেশন বা এসিও অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসইও এর কারণেই একটা ওয়েবসাইট ভালো পজিশনে রেংক করে। যারা কনটেন্ট লিখেন অনেক সময় এসইও এক্সপার্ট খোঁজ করেন। সে হিসেবে বর্তমান সময়ে এসইও এক্সপার্ট এর ডিমান্ড অনেক। 
  • ই-বুক লিখে ইনকামঃ আপনার যদি লেখালেখির হাত ভালো হয় তাহলে আপনি সেটি ই-বুক আকারে লিখুন এবং বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে প্রচার করে তা বিক্রি করার চেষ্টা করুন। কারণ, এখন এমন একটা সময় ই-বুক পড়তেই বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করে। চাইলে বুক লিখে অ্যামাজনে বিক্রি করতে পারেন। এভাবেও প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম সম্ভব।
  • ডেলিভারির কাজ করেঃ কোভিড পরবর্তী সময়ে এবং অনলাইন প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন কম বেশি সকলেই ঘরে বসে কেনাকাটা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আর এই ধরনের কাজ আরো বেশি সহজ করে দিয়েছে ই-কমার্স প্লাটফর্ম গুলো। ফলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই আপনি যেকোনো পণ্য অর্ডার করতে পারেন।
  • আর এই পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার জন্য প্রয়োজন একজন ডেলিভারি ম্যান। যেখানে একটি পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার জন্য আপনি পেতে পারেন ২০০-৩৫০ টাকা। তাহলে ভাবুন তো প্রতিদিন তিনটি পণ্য ডেলিভারি দিলেই পেয়ে যাবেন এক হাজার টাকার মত। সুতরাং ডেলিভারি ম্যান এর কাজ করেও প্রতি সপ্তাহে 4000 হাজার টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপার না।
  • হোম ডেকোরেশন এর কাজ করেঃ এখন বাড়ি কিংবা যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথমে যে বিষয়টি মাথায় আসে সেটি হলো এন্টেরিয়র। আপনি যদি হোম ডেকোরেশনের এই কাজটি দক্ষতার সাথে করতে পারেন, তাহলেও প্রত্যেক সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র হোম ডেকোরেশন এর কাজ করে। 
  • হস্তশিল্প কাজ করেঃ প্রত্যেকটি এলাকার বিশেষ ঐতিহ্যের হস্ত শিল্পের কিছু কাজ থাকে। আপনিও আপনার এলাকার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের কাজ করে সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেমন- ফেসবুক পেজ, ইউটিউব এর মাধ্যমে বিক্রি করেও প্রত্যেক সপ্তাহে ৪০০০ কিংবা তারও বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
  • বিউটি সার্ভিস দিয়ে ইনকামঃ আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন রকম বিউটি সার্ভিস যেমন - চুলের বিভিন্ন ডিজাইন, মেহেদী ডিজাইন, ফেসিয়াল, বডি ম্যাসেজ ইত্যাদি কাজ করেও টাকা উপার্জন করতে পারেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন কসমেটিক্স বা বিউটি প্রোডাক্টও বিক্রি করতে পারেন। কারণ, বর্তমান সময়ে নিজের ত্বক সম্পর্কে কমবেশি সকলেই যত্নশীল।
  • টি শার্ট ডিজাইন করেঃ আপনি যদি ভালো টি-শার্ট ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সেটি সেল করেও প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ তো বটেই এমনকি ১০-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। ডিজাইন গুলো শিখতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন canva বা Adobe illustrator।
  • বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস বা কেক বিক্রি করেঃ যদি রান্নার প্রতি আপনার চোখ থাকে কিংবা রন্ধনশিল্প আপনার পছন্দ সে ক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরি করে সেটি অনলাইনে বিক্রি করে সপ্তাহে ৪০০০ টাকার মতো আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন। বিশেষ করে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে ফেলুন এবং ফেসবুক পেজটির একটি আকর্ষণীয় নাম দেন। যে পেজে আপনার তৈরি করা প্রোডাক্টের ছবি, দাম বিস্তারিত লিখা থাকবে।
  • চায়ের স্টলঃ আপনারা যারা ব্যবসার কোন ধারণা খুঁজে পাচ্ছেন না তারা প্রথমে চায়ের স্টল দিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা এমন কোন সময় নাই যখন মানুষ চা খায় না। সুতরাং সব দিক থেকে বিবেচনায় এই ব্যবসাটি বেশ লাভজনক। যদি সম্ভব হয় তাহলে জনসমাগম বেশি রয়েছে এমন জায়গা দেখে আপনি একটি চায়ের স্টল দিন। সেখানে আপনার ইনকাম বেশি হবে।
  • সেলাই মেশিনের কাজ করেঃ অনেক মা বোনদের সেলাই ফোরণের অভ্যাস থাকে। সেলাই ফোড়নের হাত দক্ষ হলে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ড্রেস যেমন ধরুন- ব্লাউজ, বাচ্চাদের স্কুল ড্রেস, কুর্তি, টি শার্ট, পাঞ্জাবি ইত্যাদি তৈরি করে অনলাইন কিংবা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে প্রতিদিন ৫০০-১০০০ টাকার মতো ইনকাম সম্ভব। 
  • গিফট আইটেম তৈরি করেঃ প্রযুক্তির বদৌলতে এখন বেশিরভাগ মানুষ অফলাইনের থেকে অনলাইনেই বিভিন্ন ধরনের গিফট অর্ডার করে থাকে তাদের প্রিয়জনদের উপহার দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে গিফট বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এই কাজটি খুব স্বল্প খরচেই শুরু করতে পারবেন।
  • ভিডিও স্টক করে বিক্রি করাঃ আপনার যদি ফটোগ্রাফির হাত ভালো হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বিশেষ করে প্রকৃতি, গ্রামীণ পরিবেশ, শহরের ব্যস্ত জীবন, লাইফস্টাইল, স্পোর্টস ইত্যাদির ভিডিও তৈরি করে স্টক রাখতে পারেন। আপনার ভিডিও এডিটিং যদি মানসম্মত হয় তাহলে সেটি Shutterstock, Adobe stock ইত্যাদিতে সেল করতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার একটি ভিডিও এগুলো সাইটে বছরে ১০০ বারও বিক্রি হতে পারে।
  • ঘরে বসে আচার তৈরি করেঃ সিজনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ফল দিয়ে মুখরোচক টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করে সেগুলি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। আপনি আচার তৈরি করে আপনার নিজস্ব ফেসবুক পেজে পোস্ট করুন এবং তাতে দাম নির্ধারণ করে দিন। যাতে গ্রাহকদের অর্ডার করতে সুবিধা হয়। এভাবেও প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকার মতো ইনকাম করা যায়।
  • বই বিক্রি করেঃ এখন মানুষ অফলাইন এবং অনলাইন দুটো মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের বই ক্রয় করে থাকে। সেটি হতে পারে গল্পের বই, ইসলামিক বই, একাডেমির বই, উপন্যাস। সুতরাং আপনি চাইলে অনলাইনে একটি বইয়ের স্টলও দিতে পারেন। তাতেও প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকার কম ইনকাম হবে না। 
  • মোবাইলের ফ্লেক্সিলোডঃ মোবাইল ফোনের রিচার্জ কার্ড বা ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসা বেশ লাভজনক। কারণ, ফোনে কমবেশি প্রতিদিন সকলেরই টাকা রিচার্জ করতে হয়। এই রিচার্জ এর ব্যবসায়ী প্রতিদিন ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব।
  • পোল্ট্রি মুরগির ফার্মঃ আপনারা যারা গ্রামে বাস করছেন তারা একটি মুরগির খামার তৈরি করেই সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অন্যান্য মুরগির থেকে পোল্ট্রি মুরগির দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম বিধায় এর চাহিদা ও ব্যাপক। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা তুঙ্গে।
  • মুদি দোকান করেঃ আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি সামান্য জায়গা থেকে থাকে তাহলে সেখানে একটি ঘর তৈরি করে মুদি দোকান তৈরি করুন। কারণ, বাড়ির আশপাশে খুচরা পণ্যের চাহিদা খুব বেশি থাকে বিক্রিও বেশি হয়। এই ধরনের দোকান থেকে প্রত্যেক সপ্তাহে ৪০০০ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আপনি যদি কোন কাজকে ছোট করে না দেখেন তাহলে চা স্টল থেকে শুরু করে মুরগির খামার, মুদিখানা প্রত্যেকটি কাজ নির্দ্বিধায় করতে পারেন।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় 

ঘরে বসে প্রতি মাসে আপনি ১৫-২০ হাজার টাকা কিভাবে ইনকাম করবেন এতক্ষণ জেনেছেন। কিন্তু মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় কি? দেখুন আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইন কোথায় মাধ্যমেই কাজ করে মাসিক ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন কাজের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যা আমরা আজকে পোস্টের শুরুতেই আলোচনা করেছি। যেগুলিতে কাজ করে সহজেই ৫০০০০ টাকা ইনকাম করা যায়। এবার চলুন আপনি অফলাইন মাধ্যমে কিভাবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন সেই উপায় গুলো জেনে নিন-
  • রেস্টুরেন্টের বিজনেস করেঃ বর্তমানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বেশ লাভজনক। কারণ, বাইরের খাবারের উপর মানুষের চাহিদা অনেক। তবে এই ব্যবসার জন্য আপনার কিছু ব্যবসায়িক কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে। খাবারের মান ভালো হতে হবে এবং খাবার মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। রেস্টুরেন্টে ব্যবসা করে অনেকেই মাসে ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।
  • ফলের দোকান করেঃ ফলের ব্যবসাও খুব লাভজনক। আবার বাজারে ফলের চাহিদাও অনেক। এখন মানুষ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন। ফলে খাবার হিসেবে ফলের প্রতি ঝোঁক অনেকটাই বেশি। আপনি যদি একজন সফল ফল ব্যবসায়ী হন চিত্রে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার কোন ব্যাপারই না। 
  • ফাস্ট ফুডের এর দোকানঃ ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে অতি দ্রুত অনেক বেশি টাকার ইনকাম করা যায়। ফাস্ট ফুড বলতে সাধারণত বার্গার, পিজ্জা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি খাবারকে বুঝায়। ছোট থেকে বড় সবাই কমবেশি খাবার গুলো খেতে পছন্দ করেন। ফলে জনসমাগম জায়গা দেখে আপনি যদি একটি ফাস্টফুডের দোকান দিন সেখান থেকেও প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • ফার্মেসি দোকান করেঃ ফার্মেসীর ব্যবসাও বেশ লাভজনক। কারণ, ঔষধ আমাদের জীবনের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। শরীর সুস্থ রাখতে হলে ঔষধ অপরিহার্য। আসলে মানুষ প্রতিদিনই বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খেতে হবে ঔষধ।
  • আর এই ঔষধ গুলোই যদি আপনার ফার্মেসিতে পাওয়া যায় তাহলে ভাবুন তো ফার্মেসির ব্যবসা কতটা লাভজনক হতে পারে! শুধু ফার্মেসির ব্যবসা করে আপনি মাসে ৫০০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 
  • ডিলারশিপের ব্যবসা করেঃ ডিলারশিপের ব্যবসাও লাভজনক। তবে এই ব্যবসায় কিছুটা ইনভেস্টমেন্ট করতে হয়। কারণ ইনভেস্টের টাকা দিয়ে আপনি পণ্য কিনে প্রতি মাসে অল্প অল্প করে বিক্রি করে 50 হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে এবং বুঝে শুনে প্রোডাক্ট কিনতে হবে।
  • বইয়ের দোকান করেঃ বইয়ের ব্যবসায় লস নেই বলেই চলে। আপনি চাইলে বইয়ের দোকান দিয়ে পাইকারি ব্যবসা করেও লাভবান হতে পারেন। কারণ, এখন মানুষ প্রচুর পরিমাণে বই পড়ে। বইয়ের পাশাপাশি আপনি আপনার দোকানে খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন স্টেশনারি সামগ্রী রাখতে পারেন। এভাবেও প্রতিমাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করা যায়। 
  • ফিজিক্যাল এবং ডিজিটাল পণ্য ভাড়া দিয়েঃ ইনকাম ফিজিক্যালি পন্য হিসেবে আপনি আপনার বাড়ি, বাড়ির ফ্ল্যাট, গাড়ি, ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন ডিভাইস ইত্যাদি যেমন ভাড়া দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। ঠিক তেমনি ডিজিটাল পণ্য হিসেবে সফটওয়্যার লাইসেন্স, ফটোশপ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুলস, এডোবি প্রিমিয়ার ছাড়াও অন্যান্য
  • ডিজিটাল রিসোর্স ভাড়া দিয়েও আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারেন। শুধু তাই নয়, ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন ড্রোন, ল্যাপটপ, ডিএসএলআর ক্যামেরা এগুলোও আপনি ভাড়া দিতে পারেন। কারণ, এই সমস্ত প্রোডাক্টের দাম বেশি হাওয়ায় অনেকে অল্প সময় ব্যবহারের জন্য কিনতে চায় না বরং ভাড়া নিতে চায়।
উপরোক্ত এই ব্যবসা গুলো ছাড়াও আপনি কাপড়ের ব্যবসা, কসমেটিক্স এর ব্যবসা, মাছ ও মুরগির খামার তৈরি করে, মুদিখানা দোকান করেও মাসে ৫০০০০ টাকার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যা আমরা খানিক আগেই উপরের দিকে আলোচনা করেছি।

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায়

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। বর্তমান সময়ে একজন নারী বাইরে না যেয়ে, চাকরি না করেও ঘরে বসে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারে। আপনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন তাহলে এই ৫ টি উপায় অনুসরণ করে নিজেই স্বাবলম্বী হতে পারেন। চলুন উপায় গুলো জেনে নিই -
  • গৃহপালিত পশু পাখি পালন করেঃ আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন তাহলে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার এটি একটি সেরা উপায় হতে পারে। পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি গৃহপালিত বিভিন্ন পশুপাখি যেমন- হাঁস, মুরগি, কবুতর, ছাগল, গরু ইত্যাদি পালন করে এবং এদের দুধ ডিম বিক্রি করেও মাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন। এভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেক নারীই সফল সাবলম্বী হয়েছেন। 
  • সেলাইয়ের কাজ এবং বুটিক হাউসঃ আপনার যদি হাতের সেলাইয়ের কাজ ভালো হয় সেক্ষেত্রে ঘরে বসে সেলাই কাজটাও করে ফেলতে পারেন। তাছাড়া এখন বেশিরভাগ মহিলারাই তাদের পছন্দসই বুটিক ফ্যাশন হাউজ দিচ্ছে। যেখানে তারা তাদের নিজের তৈরি করা বিভিন্ন কাপড়ের কারু কাজ সাজিয়ে রাখে। 
  • তাছাড়া সেলাই কাজ শুধুমাত্র কাপড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং জুতা ব্যাগ সহ বিভিন্ন শিল্পকর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। সবথেকে স্বস্তির বিষয় হলো এই কাজগুলো ঘরে বসেই নিজের মত করে করা যায়। 
  • বিউটি পার্লারঃ মেয়েদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা মেকাআপ করাতে খুব পারদর্শী। ধরুন একজন নারীর স্কিন কেয়ার এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য তাকে কিভাবে তৈরি করতে হবে, কিভাবে তৈরি করলে তাকে সবচেয়ে সুন্দর দেখাবে সে বিষয়ে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। এই দক্ষতা কি কাজে লাগে আপনি আপনার বাড়িতেই একটি বিউটি পার্লার দিতে পারেন। এই বিউটি পার্লারের মাধ্যমেই অনেক নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে।
  • বাগান তৈরি করেঃ অনেকের অনেক রকম শখ থাকে। আপনার যদি বাগান তৈরি করার শখ থাকে তাহলে এই শখকে কে কাজে লাগিয়ে নিজেই স্বাবলম্বী হতে পারেন। এই শখটিই হতে পারে আপনার আয়ের মাধ্যম। আপনার বাড়ির পাশে যদি ছোট্ট একটুখানি জায়গা থাকে সেখানে আপনি বিভিন্ন রকম শাকসবজি চাষ করে আয়ের পথ তৈরি করতে পারেন।
  • কারণ, খেয়াল করবেন টাটকা শাকসবজির প্রতি চাহিদা সকলেরই বেশি থাকে। ফলে এটি একদিকে যেমন আপনার আয়ের উৎস হবে তেমনি অন্যদিকে আপনার সাংসারিক কাজেও লাগবে। সুতরাং আপনি আর্থিক এবং সাংসারিক উভয় ভাবেই সচ্ছল হতে পারবেন। 
  • পিঠা ও আচার তৈরি করেঃ অনেকেই আছেন যারা খুব ভালো পিঠা তৈরি করতে পারেন বা পিঠা তৈরির শখ থাকে। যা শীতকাল আসলেই চোখে পড়ে। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে ব্যস্ত নগরীর মানুষজন সময়ের অভাবে পিঠা বানানোর সময়টুকুই পান নি। ঠিক এ কারণেই তারা গরম পিঠার স্বাদ আস্বাদনের জন্য নির্ভর করে পিঠা বিক্রেতাদের উপর।
  • এভাবে আপনি পিঠা তৈরি করে বিভিন্ন পিঠার এবং ফাস্ট ফুডের দোকানে পিঠা বিক্রি করেও রোজগারের পথ তৈরি করতে পারেন। পিঠার পাশাপাশি মুখরোচক বিভিন্ন রকম আচার তৈরি করেও আপনার উপার্জনের পথ প্রসারিত করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, এই উপায়গুলো ছাড়াও একজন মেয়ে হয়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে, নকশী কাঁথার কাজ করে মাসিকভাবে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এভাবে আপনি ঘরে বসেই প্রতি মাসে ১৫০০০ ২০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন অনায়াসে।

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে 

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশেও রয়েছে বিশেষ করে অনলাইন ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে। যেগুলি বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর সমাজে অনেকটাই সহজলভ্য হয়ে উঠেছে আগের থেকে। সুতরাং ডিজিটাল বাংলাদেশেও টাকা ইনকাম করার সহজ ও কার্যকরী কিছু উপায় রয়েছে। যেমন-
  • প্রথমতঃ প্রথমেই বলব ফ্রিল্যান্সিং এর কথা। অনলাইন জগতে সবথেকে বড় কাজের সেক্টর হল ফ্রিল্যান্সিং। যেখানে ঘরে বসেই গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করে ডলার ইনকাম করা যায়। তাছাড়া ফাইবার, আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকমের মত প্ল্যাটফর্ম গুলি বাংলাদেশীদের জন্য কাজের অনেক ক্ষেত্র তৈরি করেছে। 
  • দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশে কাজের আরেকটি সহজ উপায় হলো অনলাইনে টিউশনি বা শিক্ষকতা করা। অনলাইন টিচিং বা কোচিং এখন খুবই জনপ্রিয়। আপনি ঘরে বসে জুম বা গুগল মিট ব্যবহার করেই স্টুডেন্ট পড়িয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। পাশাপাশি অনলাইন কোচিং ও পরিচালনা করতে পারেন। 
  • তৃতীয়তঃ আপনি সোশ্যাল প্লাটফর্ম ফেসবুক পেজ বা ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে সেখানে বিনোদন, রান্নার রেসিপি, ডেইলি ভ্লগ, টেক রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করেও ইনকাম করতে পারবেন। এই সমস্ত ভিডিওতে বিজ্ঞাপন, স্পনসরশীপ এবং প্রমোশন থেকে খুব ভালো আয় করা যায়।
  • চতুর্থতঃ চতুর্থ ধাপে বলবো ড্রপ শিপিং ও ই-কমার্স এর ব্যবসা। বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা ড্রপ শিপিং ও ই-কমার্স এর ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন।
  • পঞ্চমতঃ আপনি স্থানীয়ভাবে ফাস্ট ফুডের ব্যবসা, হস্তশিল্প তৈরি করে, কফি শপ, প্রিন্টিং ও ফটোকপি সার্ভিস, মোবাইল রিচার্জ, কৃষিভিত্তিক ছোট ছোট বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন- হাঁস মুরগি পালন, মাশরুম চাষ ইত্যাদি করতে পারেন। এগুলো খুব কম পুঁজি দিয়েও শুরু করা যায়। মোটকথা বর্তমান প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে যে কেউ ঘরে বসে নিজের দক্ষতার মাধ্যমে এই কাজগুলো ছোট পরিসর থেকে শুরু করে বড় পরিসরে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

কিভাবে ফ্রি ইনকাম করা যায়

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে। কিন্তু কিভাবে করবেন তা এতক্ষণে আজকের আলোচনায় জেনেছেন। এবার নিশ্চয়ই জানতে চান কিভাবে ফ্রি ইনকাম করা যায়। ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। বিশেষ করে Swagbucks, Daily Taka, Freecash: Earn Money &Rewards, Paidwork: Make Money, Make Money: Play & cash এই অ্যাপগুলি খুবই বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ইনকামের মাধ্যম।
ঘরে-বসে-আয়-করুন-১৫০০০-২০০০০-টাকা-প্রতি-মাসে
অ্যাপগুলি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ফ্রি ইনকাম শুরু করতে পারেন। এছাড়াও ফ্রি অনলাইন ইন্টারনেটের জন্য আপনি ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফ্রিল্যান্সিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং এই কাজগুলোও করতে পারেন। তবে ফ্রি ইনকামের ক্ষেত্রে খানিকটা সতর্ক থাকবেন। কারণ, অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণামূলক ভুয়া সাইট থাকে যেগুলি থেকে কখনোই আয় করা সম্ভব না। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। 

বাড়তি আয় করার উপায় 

বাড়তি আয় করার উপায় কি? আপনি চাকুরীর পাশাপাশি প্রতি মাসে যদি ঘরে বসেই ১৫০০০ ২০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন তাতে মন্দ কি! বরং আপনার আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে। বর্তমানে দ্রব্যমূলের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে শুধুমাত্র চাকরি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। আর্থিক সচ্ছলতা কে না চায় বলুন তো! যারা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অংকের একটি টাকা দিয়ে সংসার চালান তাদের কাছে আর্থিক স্বচ্ছলতা কেবলমাত্র একটি স্বপ্ন।
 
আর এই স্বপ্নটি আপনি ইচ্ছা করলে পূরণ করতে পারেন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে। আপনি চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং, রুম বা জমি ভাড়া, অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চ করে, আপনার ঘরের বিভিন্ন অপ্রয়োজনে জিনিস অনলাইনে বিক্রি করে, অনলাইন টিউশন করিয়ে, রাইট শেয়ারিং করে, ছাদ বাগান বা বারান্দায় শাকসবজি চাষ করে,
 
হোমমেড খাবার তৈরি করে, অনলাইনে পোশাক বিক্রি করে প্রভৃতি উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। সুতরাং বলাই বাহুল, নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং কাজের প্রতি আগ্রহ থাকলে বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে আপনি আপনার সৃজনশীলতা ও সময়কে কাজে লাগিয়ে বাড়তি আয়ের পথ তৈরি করে নিতে পারেন।

ঘরে বসে আয় করার জন্য কি কি লাগবে 

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে, এর জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু সঠিক গাইডলাইন, কাজের দক্ষতা এবং কিছু কৌশল। কারণ, আপনি যে কাজটি করবেন সেই কাজের যদি দক্ষতা না থাকে তাহলে কখনোই ইনকাম করতে পারবেন না। ধরুন, আপনি কিন্তু ফেসবুকে কাজ করতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ইউটিউব এবং ফেসবুক সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনার খুব ভালো করে জেনে রাখতে হবে।
 
আবার অনলাইন প্লাটফর্মে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেই কাজটির উপর বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে। তা না হলে কখনোই ইনকাম সম্ভব নয়। বর্তমানে অনলাইনে কাজ করার বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে যেগুলি আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া কখনোই করতে পারবেন না। কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলি মোবাইলের মাধ্যমেই করতে পারবেন।
 
সুতরাং মোবাইল কিংবা কম্পিউটার কিন্তু ল্যাপটপ যে কোন একটা ডিভাইস আপনার হাতে থাকতেই। এর পাশাপাশি সবচেয়ে জরুরি যে জিনিসটি সেটি হল ইন্টারনেট সংযোগ। কারণ, ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আপনি অনলাইন জগতে প্রবেশ করতেই পারবেন না। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ঘরে বসে যেকোনো কাজ করে আয় করতে হলে একটি মানসম্মত ল্যাপটপ বা কম্পিউটার, একটি স্মার্টফোন এবং নেট সংযোগ এই কয়েকটি জিনিস লাগবেই লাগবে।

পরিশেষে- ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

ঘরে বসে আপনি প্রতি মাসে কিভাবে ১৫০০০ ২০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন এতক্ষণে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বর্তমান অনলাইন যুগে অনেকেই অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করছেন। তবে টাকা ইনকামের ক্ষেত্রে একটি কথা মাথায় রাখবেন আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইন যেখানে যে কাজই করেন না কেন শ্রমের কোন বিকল্প নেই। 
 
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা যারা বেকার রয়েছেন, তাদের বেকারত্বের সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। পাশাপাশি পরনির্ভরশীল না থেকে অর্থ উপার্জন করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি যদি নিষ্ঠা, সততা ও ধৈর্যের সাথে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেন তাহলে সাফল্য আসবেই আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url